শাহরাস্তিতে মুদি দোকানদারের লাশ উদ্ধার

  • আপডেট: ০৮:৩৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯
  • ৭৪

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া॥
শাহরাস্তিতে এক মুদি দোকানির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি’র দেবকরা দারুল উলূম কাওমী মাদরাসা গেট সংলগ্ন রাস্তা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনরা ও স্থানীয়রা জানান, নিহত বদরুল আলম কবির (৪০) উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডের ফটিক খিলা গ্রামের মজিদ মাস্টারের ছোট ছেলে সে। সে দীর্ঘ দিন পৌর শহরের মেহার কালীবাড়ি বাজারে রড সিমেন্টের ব্যবসা করছিল। পরে তার ওই ব্যবসা খারাপ হয়ে পড়লে নিজ এলাকার স্থানীয় দেবকরা বাজারে মাম-মনি ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে একটি মুদি দোকান দিয়ে বসে।
ওই রাতে তিনি দোকানের কাজ ও হিসাব নিকাস মিলিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে রাত গড়িয়ে সকাল হলে স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩০) স্বামী ঘরে না দেখে বাজার অভিমুখে রওনা হন। ওই রাস্তা পথমধ্যে (কওমি মাদাসার) নিকট গিয়ে স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দা ও তার স্বজনরা ছুটে এসে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মাদ্রাসা বাড়ির আক্তার হোসেন জানান, তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে এই লাশ দেখতে পান। এদিকে নিহতের ভাই কিরণ জানান, আমার ভাই জানা মতে তার কোন শত্রু নেই তবে তার উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা দীর্ঘদিন। ওই দিন বাদ জোহর তার দাফন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে। এদিকে মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও ৩টি মেয়ে রেখে যান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

শাহরাস্তিতে মুদি দোকানদারের লাশ উদ্ধার

আপডেট: ০৮:৩৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া॥
শাহরাস্তিতে এক মুদি দোকানির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি’র দেবকরা দারুল উলূম কাওমী মাদরাসা গেট সংলগ্ন রাস্তা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বজনরা ও স্থানীয়রা জানান, নিহত বদরুল আলম কবির (৪০) উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডের ফটিক খিলা গ্রামের মজিদ মাস্টারের ছোট ছেলে সে। সে দীর্ঘ দিন পৌর শহরের মেহার কালীবাড়ি বাজারে রড সিমেন্টের ব্যবসা করছিল। পরে তার ওই ব্যবসা খারাপ হয়ে পড়লে নিজ এলাকার স্থানীয় দেবকরা বাজারে মাম-মনি ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে একটি মুদি দোকান দিয়ে বসে।
ওই রাতে তিনি দোকানের কাজ ও হিসাব নিকাস মিলিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে রাত গড়িয়ে সকাল হলে স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩০) স্বামী ঘরে না দেখে বাজার অভিমুখে রওনা হন। ওই রাস্তা পথমধ্যে (কওমি মাদাসার) নিকট গিয়ে স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দা ও তার স্বজনরা ছুটে এসে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মাদ্রাসা বাড়ির আক্তার হোসেন জানান, তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে এই লাশ দেখতে পান। এদিকে নিহতের ভাই কিরণ জানান, আমার ভাই জানা মতে তার কোন শত্রু নেই তবে তার উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা দীর্ঘদিন। ওই দিন বাদ জোহর তার দাফন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে। এদিকে মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও ৩টি মেয়ে রেখে যান।