দূর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে উভয় বন্দর এলাকায়।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে প্রায় তিনশ‘ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে। আর বেনাপোল দিয়ে একশ‘ থেকে দেড়শ‘ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে যায় ভারতে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চার দিন ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। ভারতে ছুটির সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসসহ শুল্কবিভাগ ও বন্দরের সকল কাজকর্ম চালু ছিল। পাসপোর্টযাত্রী চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চার দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টানা চারদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আজ যে পরিমাণ ট্রাক আসা যাওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু‘দেশের মধ্যে ৮০ থেকে একশ‘ ট্রাক আসা যাওয়া করেছে। পণ্যজটের পাশাপাশি যানজটও রয়েছে বন্দর এলাকায়। রোববার অফিস খুললে দ্রুত পণ্য খালাস হলে সে জট কমতে থাকবে বলে তিনি জানান।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শারদীয় দুর্গাপূজার কারনে ভারতে সরকারী ছুটি থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় চালু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ভারতীয় বন্দর এলাকা ও বনগাঁ পার্কিং এ দাঁড়িয়ে আছে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার সাইফুর রহমান মামুন জানান, শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে ট্রাক সংখ্যা অনেক কম। আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় কর্মচাজ্ঞল্য ফিরে এসেছে দু’দেশের বন্দর এলাকায়।