নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে গত দেড় মাসে ৪৫ জন ব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। সংগ্রহকৃত ৩২ জনের মধ্যে ১২ জনের করোনা পজেটিভ এবং ৫ জনের রিপোর্ট অপেক্ষমান।
মৃত ১২ জনের মধ্য আজ সোমবার (১৫ জুন) তিন জনের করোনা পজেটিভ আসে। এই ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের বাড়ি পৌর এলাকায়। এছাড়াও হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২জন, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১ জন, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ১ জন এবং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ১ জন রয়েছেন।
আরো পড়ুন: মতলব উত্তরে করোনা আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
করোনা আক্রান্তে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিদ্যা সাগর বনিক (৬৫), রনজিৎ সাহা (৬২) ও আবুল কাশেম (৪৮) এবং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৫৫)।
পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার আবুল বাশার ওরফে লেদা মিয়া (৮০) ও তার ছেলে হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আউয়াল সর্দার (৫০), আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান (৮৫), ধেররা এলাকার আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ (৭৫)।
আরো পড়ুন: চাঁদপুরে আরো ৫২জন করোনায় আক্রান্ত, মোট আক্রান্ত ৪৬৪, মৃত্যু বেড়ে ৩৮
রাজারগাও ইউনিয়নের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০), কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাজনাখাল-চাঁদপুর গ্রামের এনামুল হক ওরফে শাহজাহান কাজী (৫৫), সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের আব্দুল মমিন (৫৮) ও সুহিলপুর-নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মাও. আবু তাহের (৪০)।
এ ছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাজীগঞ্জের দুইজন বাসিন্দা রাজধানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা হলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামের বাসিন্দা কালী নারায়ণ লোধ এবং একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মিথিলা (১৮)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল হাজীগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আজ (সোমবার) পর্যন্ত উপজেলায় ৪৫ জন ব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাকী ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। এর মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেরিতে (প্রায় ৫ঘন্টা পর) অবহিত করার কারনে ৯ জন এবং প্রাথমিক তদন্তে করোনা উপসর্গ প্রমানিত না হওয়ায় ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
আরো পড়ুন:হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ১২ জন পজেটিভ
নমুনা সংগ্রহকৃতদের মধ্যে আজ পর্যন্ত (সোমবার) ২৭ জনের রিপোর্ট এসেছে এবং অপেক্ষমান আছে ৫জন। এই ২৭ জনের মধ্যে ১২ জনের করোনা পজেটিভ এবং ১৫ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলায় আজ পর্যন্ত ৫৬ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত ১২ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২জন এবং নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ৩৩ জন।
চিকিৎসাধীন এই ৩৫ জনের মধ্যে একাধীক ব্যক্তির ২য় বারের মতো পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে এবং একাধীক ব্যক্তি শারিরিকভাবে সুস্থ হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।