“অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১০-২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও সন্দ্বীপ উপজেলাতেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক ‘৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪’ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। ব্যুরো কর্তৃক নিয়োগকৃত শুমারিকর্মীগণ পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে ডিজিটাল Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে উপজেলার সকল স্থায়ী/অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান (সরকারি/বেসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস, হাটবাজার, মার্কেট/শপিং সেন্টার, দোকানপাট, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, কোম্পানি, এনজিও, ক্লাব, হল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মসজিদ/মন্দির/গির্জা/প্যাগোডা ইত্যাদি), প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খামার এবং কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসম্পন্ন খানায় (পরিবার) ইউনিটের পরিচিতি, অর্থনৈতিক কার্যাবলি, জনবল, সম্পদ এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। এবারের শুমারিতে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা, কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদির সাথে জড়িতদের তথ্য খানা থেকে সংগ্রহ করা হবে। প্রথমবারের মতো নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি জনবলের তথ্যও। নতুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ইত্যাদি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ইউনিটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিদ্যমান সমস্যা নিরূপণ করে সমাধানের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বিজনেস রেজিস্টার প্রণয়নে এ শুমারির গুরুত্ব অপরিসীম। শুমারিতে প্রদত্ত সকল ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা হবে। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ ও শুমারি আইন ১৯৭২ অনুসারে, দেশের সকল খানা ও প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো স্থানে শুমারিকর্মীর প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং খানায় বসবাসকারী ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দায়িত্ববান সকল ব্যক্তি তথ্য প্রদানে বাধ্য। তথ্য সংগ্রহে অসহযোগিতা ও তথ্য প্রদানে অপারগতা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, এবারের শুমারিতে চট্টগ্রাম-৪ শুমারি জেলাভুক্ত মীরসরাই উপজেলায় মোট ৬টি জোনে ১ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ইউসিসি) কাম জোনাল অফিসার, ৫ জন জোনাল অফিসার, ৬ জন আইটি সুপারভাইজার, ৪৯ জন সুপারভাইজার ও ২৬৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী শুমারিকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, যারা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও উপজেলা শুমারিকর্মী নির্বাচন কমিটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। একইভাবে সীতাকুণ্ড উপজেলায় মোট ৫টি জোনে ১ জন ইউসিসি কাম জোনাল অফিসার, ৪ জন জোনাল অফিসার, ৫ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩৬ জন সুপারভাইজার ও ১৯১ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং সন্দ্বীপ উপজেলায় মোট ৪টি জোনে ১ জন ইউসিসি কাম জোনাল অফিসার, ৩ জন জোনাল অফিসার, ৪ জন আইটি সুপারভাইজার, ২৫ জন সুপারভাইজার ও ১৩৩ জন তথ্য সংগ্রহকারী শুমারিকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ০৫-০৮ ডিসেম্বর উপজেলাসমূহের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন ইউসিসি কাম জোনাল অফিসার, জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজারগণ। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র অফিস আদেশ অনুসারে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের চৌকস ও অভিজ্ঞ পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জনাব মীর আন্-নাজমুস সাকিব চট্টগ্রাম-৪ (মীরসরাই, সীতাকুন্ড ও সন্দ্বীপ) শুমারি জেলার জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ডিসিসি) ও মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর অধীন তিনটি উপজেলা মিলিয়ে চট্টগ্রাম-৪ শুমারি জেলায় মোট ৩ জন ইউসিসি কাম জোনাল অফিসার, ১২ জন জোনাল অফিসার, ১৫ জন আইটি সুপারভাইজার, ১১০ জন সুপারভাইজার এবং ৫৯২ জন তথ্য সংগ্রহকারী শুমারিকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিসিসি জনাব সাকিব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।