ভেনেজুয়েলায় পাঠানো তেলবাহী ট্যাংকার আটকালে পরিণতি ভয়াবহ, ইরানের হুংকার

  • আপডেট: ০৯:৫৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • ২৮

ছবি-টুইটার।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভেনেজুয়েলায় পাঠানো তেলবাহী ট্যাংকার আটকালে এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। শনিবার দেশটির রাজকীয় বিপ্লবী বাহিনী আইআরজিসি-ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানি বার্তা সংস্থা নুর বলছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি জলদস্যুদের মতো আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে চায় তবে তারা অনেক বড় ঝুঁকি নেবে। আর সেটি অবশ্যই প্রতিক্রিয়াবিহীন হবে না।’

জাহাজ ট্র্যাকিং মাধ্যম রেফিনিটিভ এইকনের তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই একটি তেলের ট্যাংকার ভেনেজুয়েলার উদ্দেশে ইরানি বন্দর ছেড়ে গেছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের ভেনেজুয়েলায় তেল রপ্তানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা উল্লেখ না করলেও তিনি জানান, বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে উত্থাপন করা হবে।

ওপেক সদস্য ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয়ের ওপরই তেল বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সম্প্রতি ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবেই বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান উভয়ই স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের একে অপরের মধ্যে বাণিজ্যের অধিকার রয়েছে এবং তা চলবে। এ নিয়ে অন্যদের কিছু করার নেই। আমরা তেল বিক্রি করবো এবং সেই পথ আমাদের জানা আছে।’

গত বছর তেলবাহী জাহাজ আটকানো নিয়ে ইরান-যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশ বাহিনী জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি ট্যাংকার আটকালে জবাবে ইরানও ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার আটক করেছিল। প্রায় এক মাস পর দু’টি জাহাজই ছেড়ে দেয়া হয়।

সূত্র: আল জাজিরা

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

ভেনেজুয়েলায় পাঠানো তেলবাহী ট্যাংকার আটকালে পরিণতি ভয়াবহ, ইরানের হুংকার

আপডেট: ০৯:৫৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভেনেজুয়েলায় পাঠানো তেলবাহী ট্যাংকার আটকালে এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। শনিবার দেশটির রাজকীয় বিপ্লবী বাহিনী আইআরজিসি-ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানি বার্তা সংস্থা নুর বলছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি জলদস্যুদের মতো আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে চায় তবে তারা অনেক বড় ঝুঁকি নেবে। আর সেটি অবশ্যই প্রতিক্রিয়াবিহীন হবে না।’

জাহাজ ট্র্যাকিং মাধ্যম রেফিনিটিভ এইকনের তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই একটি তেলের ট্যাংকার ভেনেজুয়েলার উদ্দেশে ইরানি বন্দর ছেড়ে গেছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের ভেনেজুয়েলায় তেল রপ্তানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা উল্লেখ না করলেও তিনি জানান, বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে উত্থাপন করা হবে।

ওপেক সদস্য ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয়ের ওপরই তেল বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সম্প্রতি ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবেই বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান উভয়ই স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের একে অপরের মধ্যে বাণিজ্যের অধিকার রয়েছে এবং তা চলবে। এ নিয়ে অন্যদের কিছু করার নেই। আমরা তেল বিক্রি করবো এবং সেই পথ আমাদের জানা আছে।’

গত বছর তেলবাহী জাহাজ আটকানো নিয়ে ইরান-যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশ বাহিনী জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি ট্যাংকার আটকালে জবাবে ইরানও ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার আটক করেছিল। প্রায় এক মাস পর দু’টি জাহাজই ছেড়ে দেয়া হয়।

সূত্র: আল জাজিরা