• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ১৪ মে, ২০২০

করোনা কখনোই নির্মূল হবে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

এইচআইভির মতো করোনাভাইরাসও একটি আঞ্চলিক কিংবা কোনো গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে একটি প্রচলিত রোগ হিসেবে থেকে যেতে পারে। কাজেই রোগটির প্রাদুর্ভাব কতদিন থাকবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তবে কোভিড-১৯ রোগটি প্রতিরোধে ব্যাপকভিত্তিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটির জরুরি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান।- খবর রয়টার্সের

তিনি বলেন, জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি আরেকটি সাধারণ ভাইরাস হিসেবে থেকে যেতে পারে, যেটি কখনোই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে না। এই বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে আমরা বাস্তববাদী এবং কাজেই কখন রোগটি সম্পূর্ণভাবে বিনাশ হয়ে যাবে, তা নিয়ে কেউ ভবিষ্যদ্বাণী দিতে পারে বলে আমি মনে করি না।

‘ভাইরাসটির মধ্যে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আমি মনে করি, এমন কোনো তারিখও নেই। এটি একটি দীর্ঘ সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে কিংবা নাও হতে পারে।’

মাইক রায়ান বলেন, রোগটি কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে বিশ্বের এক ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু একটি টিকা উদ্ভাবন হলেও ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। যেটাকে চন্দ্রাভিযানের মহাযজ্ঞের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত শতাধিক টিকা উদ্ভাবনের কাজ চলছে। যার মধ্যে কয়েকটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা করোনার প্রতিরোধে সক্ষম টিকা উদ্ভাবনের জটিলতার দিকে বেশি জোর দিচ্ছেন।

রায়ান বলেন, হামের মতো অন্যান্য রোগের টিকা থাকলেও তা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস বলেন, গতিপথটি এখন আমাদের হাতে। এটা এখন সবার কাজ। বৈশ্বিক মহামারী বন্ধে আমাদের সবার অবদান রাখা উচিত।

রায়ানের মতে, ঝুঁকির খেসারত কমিয়ে আনতে ভাইরাসের ওপর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্তরে উচ্চ ঝুঁকি থাকার বিষয়েও তিনি সতর্ক করে দেন তিনি।

রয়টার্সের হিসাবে, বিশ্বজুড়ে ৪৩ লাখ লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুই লাখ ৯১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।

কাজেই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে অর্থনীতিকে সচল করা যায়, তা নিয়েও বিশ্বের সরকারগুলোর মধ্যে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত ধীরে ধীরে খুলে দিতে বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোর দিয়েছে। ইইউ বলছে, লোকজনকে নিরাপদ রেখে গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মৌসুম রক্ষা করতে এতে খুব বেশি বিলম্ব হবে না।

কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন প্রাদুর্ভাব এড়াতে চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর রায়ান বলেন, বিমান ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেয়ার চেয়ে স্থলসীমান্ত খুলে দেয়ার ঝুঁকি কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরকভ বলেন, আমাদের ধরে নিতে হবে যে এই মহামারীর শেষ দেখতে কিছুটা সময় লাগবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!