অনলাইন ডেস্ক:
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর চার মাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ নেই।
এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ ২৯ হাজার, মারা গেছে দুই লাখ ৯৮ হাজারেরও বেশি এবং সুস্থ হয়েছে ১৬ লাখ ৯৮ হাজারেও বেশি মানুষ। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ওঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।
কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় আছে। সেখানে নতুন করে আবার আক্রমণ শুরু করেছে করোনা।
করোনার আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরে ফিরেছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ হাজার ২২০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৮ জন।
বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭০ হাজার ১৭৪ জন। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৯৮ হাজার চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৪৫ হাজার ৯২১ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে।
ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন, সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ৮৫ হাজার ৯১৭ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।
যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত ও মারা গেছে সেগুলো হলো– স্পেনে আক্রান্ত দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ২২৭ এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ১০৪ জন।
রাশিয়ায় আক্রান্ত দুই লাখ ৪২ হাজার ২৭১, সুস্থ হয়েছে ৪৮ হাজার ৩ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ২১২ জন।
ইংল্যান্ডে আক্রান্ত দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৬৩, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি এবং মারা গেছে ৩৩ হাজার ১৮৬ জন।
ইতালিতে আক্রান্ত দুই লাখ ২২ হাজার ১০৬, সুস্থ হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৫৪১ এবং মারা গেছে ৩১ হাজার ১০৬ জন।
ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬০, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৪ জন।
ব্রাজিলে আক্রান্ত এক লাখ ৮৯ হাজার ১৫৭, সুস্থ হয়েছে ৭৪ হাজার এবং মারা গেছে ১৩ হাজার ১৫৮ জন।
জার্মানিতে আক্রান্ত এক লাখ ৭৪ হাজার ৯৮, সুস্থ হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার এবং মারা গেছে ৭ হাজার ৮৬১ জন।
তুরস্কে আক্রান্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ১১৪, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭১৫ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৯৫২ জন।
ইরানে আক্রান্ত এক লাখ ১২ হাজার ৭২৫, সুস্থ হয়েছে ৮৯ হাজার ৪২৯ এবং মারা গেছে ৬ হাজার ৭৮৩ জন।
এদিকে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৯২৬, সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ১৮৯ এবং মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৯৯ এবং মারা গেছে ৭৬১ জন।
ভারতে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৫৫ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন।
বাংলাদেশে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮২২, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ২৬৯ জন।