হাজীগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ৭ নারীকে পিটিয়ে আহত

  • আপডেট: ০১:১৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯
  • ১১৪

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের মা, মেয়ে ও চাচীকে বেধরক পিটিয়ে ও রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মা, মেয়ে ও চাচীরা বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হচ্ছেন, পৌর ৫নং ওয়ার্ড এলাকার খোকনের স্ত্রী শামসুন্নাহার (৩৫), ও মেয়ে অনু (১৭), আলী আক্কাসের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৮), ও মেয়ে রিমু (১৩) হাজী আলী আরশাদের মেয়ে আমেনা খাতুন (২২), ও জান্নাত (১৫) আলী আক্কাসের মেয়ে সুমাইয়া শিমু (২৫)।

ঘটনার বিবরনে জানা জায়, শনিবার (২২ জুন) মাঝি বাড়ি সৌদি প্রবাসী খোকনের মেয়ে অনু, আলী আক্কাসের মেয়ে রিমু ও হাজী আলী আরশাদের মেয়ে জান্নাত সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একই ওয়ার্ডের সেলিম মিয়ার ছেলে তুষার-১ (২০), মৃত হাবিউল্যাহ’র ছেলে ইব্রাহিম-১(২০), তুষার-২(২০), বাবু (২২), রাসেল (১৮), আল আমিন (২০), রাজন (২২), সজিব (২২), মাহিম (১৯), ইব্রাহিম-২ (১৯), আশিক (২০), জিহাদ (১৯) সকলের পিতা অজ্ঞাতরা পথ আগলে দাঁড়ায়।

ইব্রাহিম-১ ও তুষার-১ রাস্তা থেকে কাঁদা মাটি হাতে নিয়ে জান্নাতের শরীরে মেখে দেয়। বাকীরা রেনু ও অনুর উড়না টেনে শরীর থেকে ফেলে দেয়। পরে বখাটেরা অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে বলে, কই তোদের কোন বাপ আছে ডাক, আজকে আমরা সবাই মিলে তোদের ইজ্জত হরন করবো।

এসময় মেয়েরা ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে পরিবারের অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বখাটে তুষার-১ ও ইব্রাহিম-১ সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা শিক্ষার্থীদের পরিবারের উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারী কিল-ঘুষি ও দেশিয় অস্ত্র লাঠি-সোঠা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, পথে বের হলেই কতিপয় বখাটে ইভটিজিং করতো। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। অনু, জান্নাত তার মা ও বোন রিমুকে বেধরক পিটিয়ে ও রক্তাক্ত জখম করে।

ঘটনাস্থলে হাজীগঞ্জ থানার এসআই ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় আহতদের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। শামসুন্নাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে ঘটনার দিন সকালে ইভটেজিংর ঘটনায় মাঝি বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিক গাজী নাসিরের নেতৃত্বে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই শালিস বৈঠকে বখাটেদের মিলমিশ করে দেয়। ফলে বখাটেরা বেপরোয়া হয়ে সন্ধ্যায় এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

হাজীগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ৭ নারীকে পিটিয়ে আহত

আপডেট: ০১:১৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের মা, মেয়ে ও চাচীকে বেধরক পিটিয়ে ও রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মা, মেয়ে ও চাচীরা বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হচ্ছেন, পৌর ৫নং ওয়ার্ড এলাকার খোকনের স্ত্রী শামসুন্নাহার (৩৫), ও মেয়ে অনু (১৭), আলী আক্কাসের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৮), ও মেয়ে রিমু (১৩) হাজী আলী আরশাদের মেয়ে আমেনা খাতুন (২২), ও জান্নাত (১৫) আলী আক্কাসের মেয়ে সুমাইয়া শিমু (২৫)।

ঘটনার বিবরনে জানা জায়, শনিবার (২২ জুন) মাঝি বাড়ি সৌদি প্রবাসী খোকনের মেয়ে অনু, আলী আক্কাসের মেয়ে রিমু ও হাজী আলী আরশাদের মেয়ে জান্নাত সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একই ওয়ার্ডের সেলিম মিয়ার ছেলে তুষার-১ (২০), মৃত হাবিউল্যাহ’র ছেলে ইব্রাহিম-১(২০), তুষার-২(২০), বাবু (২২), রাসেল (১৮), আল আমিন (২০), রাজন (২২), সজিব (২২), মাহিম (১৯), ইব্রাহিম-২ (১৯), আশিক (২০), জিহাদ (১৯) সকলের পিতা অজ্ঞাতরা পথ আগলে দাঁড়ায়।

ইব্রাহিম-১ ও তুষার-১ রাস্তা থেকে কাঁদা মাটি হাতে নিয়ে জান্নাতের শরীরে মেখে দেয়। বাকীরা রেনু ও অনুর উড়না টেনে শরীর থেকে ফেলে দেয়। পরে বখাটেরা অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে বলে, কই তোদের কোন বাপ আছে ডাক, আজকে আমরা সবাই মিলে তোদের ইজ্জত হরন করবো।

এসময় মেয়েরা ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে পরিবারের অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বখাটে তুষার-১ ও ইব্রাহিম-১ সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা শিক্ষার্থীদের পরিবারের উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারী কিল-ঘুষি ও দেশিয় অস্ত্র লাঠি-সোঠা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, পথে বের হলেই কতিপয় বখাটে ইভটিজিং করতো। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। অনু, জান্নাত তার মা ও বোন রিমুকে বেধরক পিটিয়ে ও রক্তাক্ত জখম করে।

ঘটনাস্থলে হাজীগঞ্জ থানার এসআই ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় আহতদের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। শামসুন্নাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে ঘটনার দিন সকালে ইভটেজিংর ঘটনায় মাঝি বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিক গাজী নাসিরের নেতৃত্বে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই শালিস বৈঠকে বখাটেদের মিলমিশ করে দেয়। ফলে বখাটেরা বেপরোয়া হয়ে সন্ধ্যায় এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।