চার মেয়ে বাবার মরদেহ কাঁধে নিয়ে গেলেন শ্মশানে

  • আপডেট: ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
  • ৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। প্রতি মুহূর্তে বলা হচ্ছে, বাঁচতে হলে একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আর সেই সামাজিক দূরত্বের কারণে এবার মৃত্যুর পর এক ব্যক্তির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিল না কেউ।

উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। পরিস্থিতি দেখে তার শেষকৃত্যে এগিয়ে আসে তার চার মেয়ে। তারাই বাবার মরদেহ কাঁধে করে নিয়ে গেল শ্মশানে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আলিগড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আলিগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৫ এর সঞ্জয় কুমার। পেশা চা বিক্রেতা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন তিনি। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনও রকমে নিজের রোগের মোকাবিলা করছিলেন সঞ্জয়। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে, আর চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরের কাজ করে।

তবে চরম দারিদ্রতার মধ্যেও কারও সাহায্য নেননি সঞ্জয় কুমার। সম্প্রতি তার শরীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারি হাসপাতালেও ওষুধের সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। শেষরক্ষা হয়নি আর। অবশেষে মারা গেলেন তিনি।

কিন্তু আতঙ্ক আর সামাজিক দূরত্ব কারণে তার মৃত্যুর পর সৎকারের কাজেও এগিয়ে আসেনি কেউ। শেষে চার মেয়েই কাঁধে করে বাবার মরদেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। সেখানেই হয় শেষকৃত্য।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

চার মেয়ে বাবার মরদেহ কাঁধে নিয়ে গেলেন শ্মশানে

আপডেট: ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। প্রতি মুহূর্তে বলা হচ্ছে, বাঁচতে হলে একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আর সেই সামাজিক দূরত্বের কারণে এবার মৃত্যুর পর এক ব্যক্তির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিল না কেউ।

উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। পরিস্থিতি দেখে তার শেষকৃত্যে এগিয়ে আসে তার চার মেয়ে। তারাই বাবার মরদেহ কাঁধে করে নিয়ে গেল শ্মশানে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আলিগড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আলিগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৫ এর সঞ্জয় কুমার। পেশা চা বিক্রেতা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন তিনি। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনও রকমে নিজের রোগের মোকাবিলা করছিলেন সঞ্জয়। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে, আর চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরের কাজ করে।

তবে চরম দারিদ্রতার মধ্যেও কারও সাহায্য নেননি সঞ্জয় কুমার। সম্প্রতি তার শরীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারি হাসপাতালেও ওষুধের সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। শেষরক্ষা হয়নি আর। অবশেষে মারা গেলেন তিনি।

কিন্তু আতঙ্ক আর সামাজিক দূরত্ব কারণে তার মৃত্যুর পর সৎকারের কাজেও এগিয়ে আসেনি কেউ। শেষে চার মেয়েই কাঁধে করে বাবার মরদেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। সেখানেই হয় শেষকৃত্য।