মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স আছে, চালক নেই। চালক না থাকায় অলস পড়ে আছে জীগঞ্জে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্সটি। চালকের অভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীসহ হাসপাতালে আসা মুমূর্ষ রোগীদের কাজে আসছে না নতুন মডেলের আধুনিক ও শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত সরকারি এ এ্যাম্বুলেন্সটি। কবে নাগাদ চালকের সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং চাঁদপুরের সিভিল সার্জন।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের অযোগ্য হিসেবে গত ৫ বছর যাবৎ অচলাবস্থায় হাসপাতাল গ্যারেজে পড়ে ছিলো। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোঁড়ে নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। যা গত বছরের ২৩ অক্টোবর সংসদ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। কিন্তু চালকের অভাবে ৪ লাখ জনগোষ্ঠির কোন কাজে আসছে না এ্যাম্বুলেন্সটি।
এছাড়া হাসপাতালটি জেলার মধ্যবর্তী স্থান ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এবং রেলপথ, স্থলপথ ও নদীপথের সংযোগ থাকার কারণে পার্শ¦বর্তী উপজেলা কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও চাঁদপুর সদর এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জনগণ স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স চালকের অভাবে সচল না থাকায় মারাত্মক দুর্ভোগ ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীসহ মুমূর্ষ রোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়ছেন এ অঞ্চলের গরিব ভুক্তভোগী মানুষগুলো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৬.৬৩ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি ২০০৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। হাসপাতাল থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার রোগি সেবা নিয়ে থাকেন। যার মধ্যে অধিকাংশ হচ্ছে, নারী ও শিশু এবং দুর্ঘটনাজনিত রোগি। এর মধ্যে প্রতিমাসে প্রায় দেড় শতাধিক আশংকাজনক রোগিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে রেফার্ড করতে হয়।
কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় এসব রোগির পরিবারের লোকজনকে বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগির পরিবারকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর ফলে যথাসময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রায় সময়ে রোগির প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও চালক না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রায় সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিত হতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল আজিম নিজেও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জরুরি মুহূর্তে রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়াটা কষ্টদায়ক। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের লোকদের জন্য।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে এবং প্রতি মাসেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়।
শিরোনাম:
ড্রাইভার না থকায় অলস পড়ে আছে হাজীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোটি টাকার এ্যাম্বুলেন্স
Tag :
সর্বাধিক পঠিত