চৈতন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছেন বইটি । প্রচ্ছদ এঁকেছেন বিপ্লব দত্ত । গ্রন্থটির মুল্য ধরা হয়েছে ১৬০ টাকা। লেখক ও সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় লেখা সর্বমোট ১৭ টি ছোট গল্প স্থান পেয়েছে গ্রন্থটিতে। মেলার প্রথম দিন থেকে ২৫০-২৫১ নম্বর স্টলে গ্রন্থটি পাওয়া যাবে।
লেখক পরিচিতি :
কবি, লেখক, সাংবাদিক ও নাট্যকার জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় । জন্ম ১৯৮১ সালে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাস্থ পৌর সভা ১১ নং ওয়ার্ড এর কৃষ্ণপুর পাটোয়ারী বাড়িতে । পিতার নাম আবদুল খালেক পাটোয়ারী এবং মাতার নাম ফিরোজা বেগম । ৫ ভাই, তিন বোন, শৈশব ও কৈশোর কাটে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামেই । বর্তমানে কবি সৌদি আরবের রিয়াদে বসবাস করছেন।
কবির লেখালেখি শুরু বাংলাদেশে নব্বই দশকের শুরুর দিক থেকে। স্কুল জীবন থেকেই তিনি নিয়মিত কবিতা,ছোট গল্প, নাটক লিখতেন। তার লেখা গুলি ছোট কাগজ, স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে । পাশাপাশি ছিল সাংবাদিকতাও। সর্বপ্রথম প্রকাশনায় হাতেখড়ি ১৯৯৫ সালে শাহরাস্তি প্রভাত দেয়ালিকা পত্রিকার মাধ্যমে, । তিনি শিশু শ্রেনি থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত চট্রগ্রামেই লেখা পড়া করেন, নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরে তিনি নিজ এলাকার মেহার উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু দিন লেখা পড়া করেন , পরে টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন সেখান থেকেই এসএসসি পাস করে চাঁদপুর শাহরাস্তি মেহের ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন, কলেজে পড়ার সময় সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকান্ডে। স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রছাত্রী ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘শাহরাস্তি অপরূপা নাট্যগোষ্ঠী ও থিয়েটার’ নামক একটি সংগঠন। নিয়মিত সম্পাদনা করতেন কলেজের পাক্ষিক দেয়াল পত্রিকা ‘দেয়ালিকা’। এছাড়াও তিনি চট্রগ্রামের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সমীকরণ থিয়েটার, চট্রগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার আজ মিশালী পাতায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লিখতেন, চট্রগ্রাম প্রথম আলো বন্ধুসভা , আজীবন সদস্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব,রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি,সাহিত্য একাডেমি,শাহরাস্তি রিপোর্টাস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যুগ্ম সম্পাদক, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাবেক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শাহরাস্তি অপরূপা নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহ আরও অনেক সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত ।
এখনো তিনি নিয়মিত ভাবে লিখেছেন সৌদি ও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বাংলা পত্রিকা, বই ও সাহিত্যের কাগজে। ২০১৪ সালে তিনি প্রবাসের মাটিতে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেন রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটার – সাথে ছিলেন বন্ধু আরিফুর রহমান টিটু, মির্জা কামাল। সৌদি আরব মোহনা টেলিভিশন, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ, বর্তমান প্রতিদিন, পাক্ষিক প্রবাস মেলা পত্রিকায় কাজ করছেন।
তিনি বেশ কিছু নাটক লিখেছেন – তার মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ওরা বেঈমান, বিষয় ভিত্তিক নাটক রুপকার, উন্নয়নের রেলগাড়ী, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে তিনি লিখেন আশার আলো, প্রত্যাশা সহ বেশ কিছু নাটক রচনা করেন । প্রবাসীদের জন্য লিখেছেন তিনি।
তিনি লেখক, সাংবাদিক, নাট্যকার, নাট্যভিনেতা হিসাবে পেয়েছেন সন্মাননা। গত ৮ এবং ১১ অক্টোবর ২০১৯ সালে বাংলাভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় ও মোশারফ করিম অভিনীত টেলিফ্লিম পুতুলের সংসার, ফারহান আহমেদ জুভান, তানজিন তিশা, জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় অভিনীত নাটক ইন্টারভিউ।
লেখালেখি মাঝে – ২০১৮ তোমার উত্তাপে হৃদয় কাঁপে প্রথম কবিতার বই, ২য় বইটি ২০২০ সালে অমর একুশে বই মেলায় তার লেখা স্মৃতি সমাহার ছোট গল্পের বই চৈতন্য প্রকাশনা থেকে । অমর একুশে বই মেলায় ২৫০ এবং ২৫১ নম্বর স্টোলে স্মৃতি সমাহার বইটি পাওয়া যাবে।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তোমার উত্তাপে হৃদয় কাঁপে প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের একুশে বইমেলায়, ছিন্ন পত্র প্রকাশনী থেকে। তখন ব্যাপক সারা জাগিয়ে ছিল কাব্যগ্রন্থটি। সুদীর্ঘ দুইবছর পর প্রকাশিত এই দ্বিতীয় ছোট গল্পের বই ‘স্মৃতি সমাহার ’, যার প্রতিটি গল্প অতীতে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও সাহিত্য সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে লেখক সৌদি আরব রিয়াদ বাথা বাংলাদেশি সাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের পাবলিক রিলেশন অফিসার এবং রিয়াদ বাথা প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসাবে কর্মরত আছেন। চাকরির ফাঁকে ফাঁকে নেশা হিসাবে বই পড়েন, নাটক, কবিতা, গল্প লিখেন, নিজে অভিনয় করে থাকেন।
স্মৃতি সমাহার বইটি উৎসর্গ করেছেন -লেখকের মা ফিরোজা বেগম, বড় ভাই আবদুল জলিল মানিক, এ্যাডভোকেট মোঃ শামছুল আলম, সহধর্মিণী লুবনা আক্তার বৃষ্টি সহ পরিবারের সবাইকে।
তিনি বলেন ২০১৮ সালে অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত প্রথম কবিতার বই তোমার উত্তাপে হৃদয় কাপে এবং ২০২০ সালে অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত আমার প্রথম ছোট গল্পের বইটি প্রকাশিত হচ্ছে চাঁদপুর জেলার তরুন প্রজন্মের বিশিষ্ট লেখক মোহাম্মদ ফরিদ হাসান এর উৎসাহ পেয়েই, তিনি আমার প্রতিটি লিখা সুন্দর ভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করার জন্য সহযোগিতা করেছেন, আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ, আরেকজন মানুষের কথা না বললেই নয় – তিনি চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক এবং দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাই, তিনি আমাকে সবসময় ছোট ভাই হিসাবে সকল কাজে উৎসাহ দিয়েছেন বলেই দুরপ্রবাসে থেকেও সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকতা ও লেখালেখির চর্চা অব্যাহত রেখেছি।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সকল সাংবাদিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বন্ধুদের যারা আমার লেখা গুলি পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে সহযোগিতা করেছেন। আল্লাহ আমাকে যতদিন বাচিয়ে রাখেন ততদিনেই ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের কল্যানেই লিখে যাব, একমাত্র লেখালেখির মাধ্যমেই দেশ ও সমাজের কথা তুলে ধরা যায় বলে আমি মনে করি। আর লেখালেখি এবং বেশি করে সাথে থাকলে সকল ধরনের খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব। তাই আসুন নিজে বই পড়ি, অন্যকে বই পড়তে সহায়তা করি।