অনলাইন ডেস্ক:
বিতর্কিত ‘এনআরসি’ এবার কংগ্রেসের পর মমতার ডাকে সাড়া দিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের কাছে। চিঠিতে এনসিপি প্রধান মমতার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের (বিজেপি) কর্তৃত্ববাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমরাও আপনাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচিতে যুক্ত হতে চাই।’ বিজেপির বিরুদ্ধে সমমনা সব দলকে একমঞ্চে আনতে সম্প্রতি বিজেপি ছাড়া অন্য সব দলের নেতাদের চিঠি লিখেছিলেন মমতা
এদিকে কংগ্রেস ও এনসিপি মমতার ডাকে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার পরই নতুন সম্ভাবনা রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বৃহত্তর গণতন্ত্রের দেশ ভারতে। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের একটি বৈঠকের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিরোধী শিবিরে ঐক্যের ভাবনা স্পষ্ট করে সোমবার পুরুলিয়ার এক সভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘দেশে বিজেপিকে একা করে দিন। যারা দেশবাসীকে তাড়াতে চায়, ভারতে তাদের জায়গা নেই।’
রোববার ঝাড়খন্ডে অবিজেপি সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেশের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তৃণমূলনেত্রীর এই আহ্বানে রাজনৈতিক শক্তির নতুন বিন্যাসের সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। পুরুলিয়ার ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল মোড়ে এই সভায় মমতা বলেন, ‘এনআরসি’র নাম করে দেশের মানুষকে তাড়ানোর চক্রান্ত চলছে। সবাইকে বলব, এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন, তৈরি হোন। শুধু বাংলায় নয়। সারা ভারতে যে যেখানে এই আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। এটা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন, মাথার উপরের আশ্রয় রক্ষার আন্দোলন। ঠিকানা রক্ষার আন্দোলন।’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘দেশে ১৩০ কোটি মানুষই নাগরিক। তার মধ্যে ১০০০জনকে নাগরিকত্ব দেবে। বাকিরা কি ললিপপ খাবে। কলা খাবে। দেশে শুধু বিজেপি থাকবে? আমরা সবাই নাগরিক। এক একটি রাজ্যের ভাষা আলাদা। কিন্তু সবটা মিলিয়ে আমাদের দেশ হিন্দুস্তান।’
বিতর্কিত এনপিআর এবং নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করবেন না বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই এলাকায় এমন মানুষ আছেন, যারা ব্যবসা করেন, চাকরি করেন। তাদের কেউ গুজরাটের, কেউ উত্তরপ্রদেশে, পঞ্জাব, বিহার, রাজস্থানের বাসিন্দা। এনআরসির নাম করে সব লোকেদের ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়নের জঘন্য চক্রান্ত চলছে।’