অর্ধেক বাসিন্দার নাগরিকত্বের কাগজপত্র নেই: মুখ্যমন্ত্রী

  • আপডেট: ০১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২

অনলাইন ডেস্কঃ

ভারতের ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘর বলেছেন, যদি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়ন করা হয়, তবে তার রাজ্যের অর্ধেক জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন না। তাদের কোনো ভূমি কিংবা ভূমি রেকর্ড নেই।

শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন দাবি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ছত্তিশগড়ের অর্ধেক বাসিন্দার কাছে নাগরিকত্বের কোনো নথি নেই। তাদের পূর্বপুরুষরা অক্ষরজ্ঞানহীন ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্য ও গ্রাম থেকে এসে তারা এখানে বসবাস করছেন।

ছত্তিশগড়ের এই নেতা আরও বলেন, ১৯০৬ সালে আফ্রিকায় ব্রিটিশদের এমন শনাক্তকরণ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কাজেই তিনিও এই নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে যাবেন।

সাধারণ মানুষের জন্য এই নাগরিকপঞ্জিকে অপ্রয়োজনীয় বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। কাজেই কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করলে সংস্থাগুলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে নাগরিকপঞ্জি করছে, তাতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ে যাবেন।

পূর্বপুরুষদের অক্ষরজ্ঞান না থাকায় ছত্তিশগড়ের অর্ধেক অধিবাসীর নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্র নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কাজেই একশ থেকে ৫০ বছরের বেশি সময় আগের কাগজপত্র এখন তারা কোথা থেকে নিয়ে আসবেন?

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী আটক

অর্ধেক বাসিন্দার নাগরিকত্বের কাগজপত্র নেই: মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ

ভারতের ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘর বলেছেন, যদি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়ন করা হয়, তবে তার রাজ্যের অর্ধেক জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন না। তাদের কোনো ভূমি কিংবা ভূমি রেকর্ড নেই।

শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন দাবি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ছত্তিশগড়ের অর্ধেক বাসিন্দার কাছে নাগরিকত্বের কোনো নথি নেই। তাদের পূর্বপুরুষরা অক্ষরজ্ঞানহীন ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্য ও গ্রাম থেকে এসে তারা এখানে বসবাস করছেন।

ছত্তিশগড়ের এই নেতা আরও বলেন, ১৯০৬ সালে আফ্রিকায় ব্রিটিশদের এমন শনাক্তকরণ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কাজেই তিনিও এই নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে যাবেন।

সাধারণ মানুষের জন্য এই নাগরিকপঞ্জিকে অপ্রয়োজনীয় বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। কাজেই কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করলে সংস্থাগুলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে নাগরিকপঞ্জি করছে, তাতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ে যাবেন।

পূর্বপুরুষদের অক্ষরজ্ঞান না থাকায় ছত্তিশগড়ের অর্ধেক অধিবাসীর নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্র নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কাজেই একশ থেকে ৫০ বছরের বেশি সময় আগের কাগজপত্র এখন তারা কোথা থেকে নিয়ে আসবেন?