• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

হাজীগঞ্জ পৌর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী মোস্তফা কামাল

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ পৌর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল (মোস্তফা হুজুর)। আলীগঞ্জ, কংগাইস এবং এনায়েতপুর তিন গ্রাম নিয়ে গঠিত হাজীগঞ্জ পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে রয়েছে উপজেলা পরিষদসহ সকল সরকারি দপ্তর। পৌরসভার এ গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী পদে আবারো প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন মো. মোস্তফা কামাল (মোস্তফা হুজুর)। আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সব সময় তার যোগাযোগ রাখছেন এ নেতা।

২০১২ সালে হাজীগঞ্জ পৌর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সাংগঠনিক কাঠামো পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন। স্বাধীনতা পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হাফেজ আব্দুল কাদের।

২০১২ সালের ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন হাফেজ আব্দুল কাদেরের ভাগিনা মোস্তফা কামাল। নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে মোস্তফা কামালকে নির্বাচিত করেন।

ওই সময়ে এ ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সমর্থন ছিল মাত্র ২৫%। মোস্তফা কামাল নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনগুলো’র সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ে। এরপূর্বে এ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিল অবহেলিত। সহযোগি সংগঠন শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ছিল না কোন কমিটি। মোস্তফা কামালের ঐক্লান্তিক পরিশ্রম এবং সাংগঠনিক তৎপরতা ও সহযোগিতায় গঠিত হয় শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং তরুণলীগের পূণাঙ্গ কমিটি।

বর্তমানে এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন ৫৫% ভাগে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল (মোস্তফা হুজুর)। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর বিএনপির আন্দোলনের সময়ে পৌর এলাকার এনায়েতপুর ও টোরাগড়ে অস্থিরতা মোকাবেলায় মোস্তফা কামাল মিয়াজীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় ছিল। আন্দোলন প্রতিহত করতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী আতহ হয়েছে। আহত নেতাকর্মীদের চিকিকৎসাসহ সকল ব্যয় বহন করেছিলেন বলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান। এ ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১২ সালে আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দলকে সু-সংগঠিত করার চেষ্টা করেছি। এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন সহযোগি সংগঠনের কমিটি ছিল না। আমি অর্থ এবং শ্রম বিনিয়োগ করে সু-সংগঠিত করেছি। ২৫ ভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থন থেকে বর্তমানে ৫৫ ভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থন রয়েছে। আমি প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমি কখনো পরিবার ম্যানেজ রাজনীতি করতে কাউকে সুযেগ দেইনি। রাজনীতি অর্থ সম্পদের মালিক হইনি। আমার রোজগার করা টাকা খরচ করেছি। আমার বিশ্বাস নেতাকর্মীরা আমাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবে। আমি নির্বাচিত হলে এ ওয়ার্ডকে মুজিবনগর হিসেবে ঘোষণা করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাবো। নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • অন্যান্য এর আরও খবর
error: Content is protected !!