হাজীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার

  • আপডেট: ০৯:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • ৪১

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম শোভন।

স্টাফ রিপোর্টার:
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম শোভন। মঙ্গলবার সকালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলেন।

এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, একসময় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি-তো দুরের কথা, ছিলনা প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও ঔষধ।

অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদী ও বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।

তিনি বলেন, সরকার আগামি দিনে রোগিদের বিনামূল্যে ইনসুলিন ও ইনহেলার এবং হাসপাতালে অটোপ্রেসার মেশিন প্রদানসহ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও অস্বচ্ছল রোগিদের দামী ঔষধ বিনামূল্যে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়িত হবে। ইতিমধ্যেও বেশ কিছু দামী ঔষুধ প্রদান করা হচ্ছে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে ডা. মো. শহীদুল ইসলাম শোভন বলেন, সরকারি চাকরি হয়েছে, আপনি সরকারি ভাব নিয়ে বসে থাকবেন। সেই দিন আর নেই। আপনাকে আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে। রোগি আপনার কাছে আসবেনা, আপনাকে রোগির কাছে যেতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আগামি দিনে থাকছে না এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন)। এর পরিবর্তে আসছে কর্মভিত্তিক নতুন অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থা এপিএআর (অ্যানুয়াল পারফরমেন্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট-বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন)। সুতরাং পদোন্নতি বা পদায়ন পেতে হলে আমাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈমের সভাপতিত্বে এ সময় কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জামাল উদ্দিন, কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইউসুফ মো. যোবায়ের।

মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুকের উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভায় নার্সদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নার্সিং সুপারভাইজার পুতুল মজুমদার ও সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ফাতেমা আক্তার প্রমুখ। এ সময় হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নাস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

হাজীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার

আপডেট: ০৯:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম শোভন। মঙ্গলবার সকালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলেন।

এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, একসময় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি-তো দুরের কথা, ছিলনা প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও ঔষধ।

অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদী ও বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।

তিনি বলেন, সরকার আগামি দিনে রোগিদের বিনামূল্যে ইনসুলিন ও ইনহেলার এবং হাসপাতালে অটোপ্রেসার মেশিন প্রদানসহ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও অস্বচ্ছল রোগিদের দামী ঔষধ বিনামূল্যে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়িত হবে। ইতিমধ্যেও বেশ কিছু দামী ঔষুধ প্রদান করা হচ্ছে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে ডা. মো. শহীদুল ইসলাম শোভন বলেন, সরকারি চাকরি হয়েছে, আপনি সরকারি ভাব নিয়ে বসে থাকবেন। সেই দিন আর নেই। আপনাকে আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে। রোগি আপনার কাছে আসবেনা, আপনাকে রোগির কাছে যেতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আগামি দিনে থাকছে না এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন)। এর পরিবর্তে আসছে কর্মভিত্তিক নতুন অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থা এপিএআর (অ্যানুয়াল পারফরমেন্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট-বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন)। সুতরাং পদোন্নতি বা পদায়ন পেতে হলে আমাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈমের সভাপতিত্বে এ সময় কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জামাল উদ্দিন, কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইউসুফ মো. যোবায়ের।

মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুকের উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভায় নার্সদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নার্সিং সুপারভাইজার পুতুল মজুমদার ও সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ফাতেমা আক্তার প্রমুখ। এ সময় হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নাস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।