এবার বই উৎসব হবে না : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • আপডেট: ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩২

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে ১ জানুয়ারি বই উৎসব হবে না। তবে নতুন বছরের প্রথম দিন স্কুল থেকে বই পাবে শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মাতুয়াইলে নতুন বই ছাপার অগ্রগতি দেখতে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বই স্কুলে পৌঁছে যাবে। আর ৪ থেকে ৫ শতাংশ যেই বই বাকি থাকবে সেটিও পৌঁছে যাবে প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই।

তিনি বলেন, মুদ্রণে যা ভুল ছিল, সেসব সংশোধন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজে অনিয়মকারীরা কালো তালিকাভুক্ত হবে, তারা আর কখনও কাজ পাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানুয়ারিতে ধাপে ধাপে সব শিক্ষার্থীই বই হাতে পাবে।

দীপু মনি জানান, ওমিক্রন নিয়ে শেষ কথার সময় আসেনি। ইউরোপ আমেরিকাতে ছড়াচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি মার্চে খারাপ হয়। মার্চের পর পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। মার্চে গিয়ে যদি পরিস্থিত ভালো হয় খারাপ না থাকে তবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি বই ছাপার কাজ চলছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের মোট বই ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি। আর প্রাথমিক স্তরের মোট বই প্রায় ১০ কোটি। প্রাথমিক স্তরে সব বই ছাপা হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেলেও মাধ্যমিকের এখনো ছাপার বাকি প্রায় ৭ কোটি বই।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শিশুর মধ্যে কোরআনি শিক্ষা থাকলে ভবিষ্যতে কল্যাণময় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সে ভূমিকা রাখবে-মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী

এবার বই উৎসব হবে না : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

আপডেট: ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে ১ জানুয়ারি বই উৎসব হবে না। তবে নতুন বছরের প্রথম দিন স্কুল থেকে বই পাবে শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মাতুয়াইলে নতুন বই ছাপার অগ্রগতি দেখতে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বই স্কুলে পৌঁছে যাবে। আর ৪ থেকে ৫ শতাংশ যেই বই বাকি থাকবে সেটিও পৌঁছে যাবে প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই।

তিনি বলেন, মুদ্রণে যা ভুল ছিল, সেসব সংশোধন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজে অনিয়মকারীরা কালো তালিকাভুক্ত হবে, তারা আর কখনও কাজ পাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানুয়ারিতে ধাপে ধাপে সব শিক্ষার্থীই বই হাতে পাবে।

দীপু মনি জানান, ওমিক্রন নিয়ে শেষ কথার সময় আসেনি। ইউরোপ আমেরিকাতে ছড়াচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি মার্চে খারাপ হয়। মার্চের পর পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। মার্চে গিয়ে যদি পরিস্থিত ভালো হয় খারাপ না থাকে তবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি বই ছাপার কাজ চলছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের মোট বই ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি। আর প্রাথমিক স্তরের মোট বই প্রায় ১০ কোটি। প্রাথমিক স্তরে সব বই ছাপা হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেলেও মাধ্যমিকের এখনো ছাপার বাকি প্রায় ৭ কোটি বই।