অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়মিত হলেও দলটির সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সম্মেলন নিয়মিত হচ্ছে না। সর্বশেষ সম্মেলনের পর কেটে গেছে ৭ বছর।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেই কমিটিরও মেয়াদ ফুরিয়েছে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই। অবশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর। অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) গণভবনের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিন বিকেলে গণভবনে সম্প্রতি জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান ও ভারতের দিল্লি সফরের অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের শেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে ফিরে গত ২ অক্টোবর গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সম্মেলন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে চিঠি দেওয়া হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের সর্বোশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন হারুনুর রশীদ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষনমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মুলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র দূরীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমুহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা।