বণ্টন করা হলো ভারতের লোকসভার নতুন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রলালয়

  • আপডেট: ১০:০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯
  • ৮০

notuner kotha

বণ্টন করা হলো ভারতের লোকসভার নতুন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রলালয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেন মন্ত্রীরা। আজ শুক্রবার সকালেই তাদের মধ্যে বণ্টন করা হলো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পেয়েছেন অমিত শাহ। আগের সরকারে এই মন্ত্রণালয় ছিল রাজনাথ সিংয়ের হাতে। রাজনাথ সিং-কে দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

প্রথম মোদি সরকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন নির্মলা সীতারামণ। এবার তাকে দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

আগের সরকারে অর্থমন্ত্রী থাকা অরুণ জেটলি এবার আর নেই মোদির মন্ত্রিসভায়। অসুস্থতার কারণে সরকার থেকে সরে গেছেন তিনি নিজেই।

এবার মন্ত্রিসভায় নেই সুষমা স্বরাজও। গত পাঁচ বছর বিদেশমন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার সেই দায়িত্ব দেওয়া হল এস জয়শঙ্করকে। একসময় বিদেশ সচিব থাকা জয়শঙ্করকেই স্বাভাবিকভাবেই এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

দুটি মন্ত্রণালয় থাকছে স্মৃতি ইরানির হাতে। নারী ও শিশুকল্যাণ এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে তাকে। এর আগে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সালমেছেন তিনি। আর নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণলায়ের দায়িত্বে ছিলেন মানেকা গান্ধী। তিনি এবার মন্ত্রিসভায় নেই।

আগের মতই সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন নীতিন গদকড়ি। সঙ্গে পেলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়।

পেশায় চিকিৎসক ড. হর্ষ বর্ধনকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৩টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি। স্বাস্থ্যের সঙ্গে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আর্থ সায়েন্স মন্ত্রণালয়।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণলায় দেখবেন মোদি সরকারের একমাত্র সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। আর ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ফের দেওয়া হল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়। আগেই এই মন্ত্রণালয় সামলেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে স্টিলও।

এছাড়া রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী হচ্ছেন সদানন্দ গৌড়া, ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন রাম বিলাস পাসোয়ান।

তিনটি মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন নরেন্দ্র সিং তোমর। তার হাতে থাকছে কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত রাজ।

আইনমন্ত্রী হলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। সঙ্গে থাকবে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং যোগাযোগ (মিনিস্ট্রি অফ কমিউনিকেশন)।

মোদি সরকারের আরেক মহিলা মন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদলকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়।

সামাজিক ন্যয়বিচার মন্ত্রী হচ্ছেন থাওয়ার চাঁদ গেহলট। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন রমেশ পোখরিয়াল, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী হচ্ছেন অর্জুন মুণ্ডা।

দুটি মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি পাবেন বন মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রেলমন্ত্রী হলেন পীযূষ গোয়েল। আগের সরকারের শেষের দিকে তিনিই হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও থাকবেন তিনি।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হলেন প্রহ্লাদ যোশী। সেই সঙ্গে তিনি হবেন কয়লামন্ত্রী। মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে হলেনন স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী।

আর শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, ভারী উদ্যোগমন্ত্রী অরবিন্দ সাবন্ত। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বাবুল সুপ্রিয় হলেন বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

বণ্টন করা হলো ভারতের লোকসভার নতুন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রলালয়

আপডেট: ১০:০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯

notuner kotha

বণ্টন করা হলো ভারতের লোকসভার নতুন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রলালয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেন মন্ত্রীরা। আজ শুক্রবার সকালেই তাদের মধ্যে বণ্টন করা হলো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পেয়েছেন অমিত শাহ। আগের সরকারে এই মন্ত্রণালয় ছিল রাজনাথ সিংয়ের হাতে। রাজনাথ সিং-কে দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

প্রথম মোদি সরকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন নির্মলা সীতারামণ। এবার তাকে দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

আগের সরকারে অর্থমন্ত্রী থাকা অরুণ জেটলি এবার আর নেই মোদির মন্ত্রিসভায়। অসুস্থতার কারণে সরকার থেকে সরে গেছেন তিনি নিজেই।

এবার মন্ত্রিসভায় নেই সুষমা স্বরাজও। গত পাঁচ বছর বিদেশমন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার সেই দায়িত্ব দেওয়া হল এস জয়শঙ্করকে। একসময় বিদেশ সচিব থাকা জয়শঙ্করকেই স্বাভাবিকভাবেই এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

দুটি মন্ত্রণালয় থাকছে স্মৃতি ইরানির হাতে। নারী ও শিশুকল্যাণ এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে তাকে। এর আগে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সালমেছেন তিনি। আর নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণলায়ের দায়িত্বে ছিলেন মানেকা গান্ধী। তিনি এবার মন্ত্রিসভায় নেই।

আগের মতই সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন নীতিন গদকড়ি। সঙ্গে পেলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়।

পেশায় চিকিৎসক ড. হর্ষ বর্ধনকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৩টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি। স্বাস্থ্যের সঙ্গে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আর্থ সায়েন্স মন্ত্রণালয়।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণলায় দেখবেন মোদি সরকারের একমাত্র সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। আর ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ফের দেওয়া হল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়। আগেই এই মন্ত্রণালয় সামলেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে স্টিলও।

এছাড়া রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী হচ্ছেন সদানন্দ গৌড়া, ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন রাম বিলাস পাসোয়ান।

তিনটি মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন নরেন্দ্র সিং তোমর। তার হাতে থাকছে কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত রাজ।

আইনমন্ত্রী হলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। সঙ্গে থাকবে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং যোগাযোগ (মিনিস্ট্রি অফ কমিউনিকেশন)।

মোদি সরকারের আরেক মহিলা মন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদলকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়।

সামাজিক ন্যয়বিচার মন্ত্রী হচ্ছেন থাওয়ার চাঁদ গেহলট। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন রমেশ পোখরিয়াল, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী হচ্ছেন অর্জুন মুণ্ডা।

দুটি মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি পাবেন বন মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

রেলমন্ত্রী হলেন পীযূষ গোয়েল। আগের সরকারের শেষের দিকে তিনিই হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও থাকবেন তিনি।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হলেন প্রহ্লাদ যোশী। সেই সঙ্গে তিনি হবেন কয়লামন্ত্রী। মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে হলেনন স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী।

আর শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, ভারী উদ্যোগমন্ত্রী অরবিন্দ সাবন্ত। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বাবুল সুপ্রিয় হলেন বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী।