অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ঢাকার ক্লাবগুলোর ক্যাসিনোতে ব্যবহৃত টাকার উৎসের সন্ধানে নেমে সোমবার আরো কয়েকজন যুবলীগ নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত ও তাদের তথ্য তলব করে বিএফআইইউ ।
একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দেশের আর্থিক এ গোয়েন্দা সংস্থা ঢাকার ক্যাসিনোগুলোর সঙ্গে জড়িতদের সবার আর্থিক খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ক্যাসিনোগুলোয় ব্যবহৃত টাকার উৎস খোঁজা একটি চলমান বিষয় বলেও জানা গেছে।
সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার অবৈধ ক্যাসিনোর মালিক এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার ‘গুরু’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে সম্রাটের নাম।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া সব ব্যক্তির নামে থাকা ব্যাংক হিসাব নজরদারিতে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের নিকটাত্মীয়দের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তারও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের নামে কী পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলোয় আছে, তাও জানার চেষ্টা চলছে।
এর আগে যুবলীগ নেতা ও সংসদ সদস্য (এমপি) নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এক চিঠি পাঠিয়ে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমসহ সব ক্যাসিনো কারবারিদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
ব্যাংকগুলোতে পাঠানো বিএফআইইউ-এর চিঠিতে বলা হয়েছে, খালেদ মাহমুদ, জিকে শামীমের স্ত্রী, সন্তান ও মা বাবার ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার পাশাপাশি ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সব তথ্য বিএফআইইউকে জানাতে হবে।
এদিকে, র্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।