মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রিয়াদ ও তার সহযোগী হাবীবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নায়েরগাঁও বাজার এলাকায় পাটন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ছাত্রী নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত প্রায় এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে রিয়াদ প্রায়ই ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে রিয়াদ ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে ছাত্রীটি এতে রাজি হয়। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াদ ছাত্রীটিকে তাঁর (রিয়াদ) বন্ধু মো. শাজাহান (২৩) ও মো. হাবিবের (২৪) বাড়িতে নিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯) পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। শুক্রবার রাতে ছাত্রীটির ঘরে তার ভাবী ছাড়া পরিবারের অন্য কোনো সদস্য ছিলেন না।
ছাত্রীর মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে রাত ১১টায় রিয়াদ ছাত্রীটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বসতঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ছাত্রীটি রিয়াদকে বিয়ের কথা বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে রিয়াদ কিশোরীর মুখে রুমালচাপা দিয়ে ধর্ষণ করে। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে পাশের কক্ষে থাকা কিশোরীর ভাবী ওই কক্ষে এসে এমন পরিস্থিতি দেখে ডাক চিৎকার শুরু করে। ওই চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং রিয়াদকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
শুক্রবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিয়াদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ ঘটনায় শনিবার রাত দশটায় ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে রিয়াদ এবং তাঁর সহযোগী (বন্ধু) মো. শাজাহান (২৩), মো. হাবিব (২৪) ও মো. রাজিবসহ (২২) আরও কয়েকজনকে আসামি করে তাঁর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
শনিবার রাতে আটক রিয়াদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. হাবিবকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মি. আইচ বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার সকাল ১০টায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার রিয়াদ ও হাবিবকে চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে আটককৃতদের পরিবারে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।