অনলাইন ডেস্ক:
নানা কারণে বিলুপ্তির পথে ইলিশের বাড়ি বলে খ্যাত পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর অভয়াশ্রমটি। পাশাপাশি হুমকীতে অন্যান্য মাছসহ জীববৈচিত্র। এর প্রধান কারণ হিসেবে দুষণ আর দখলকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। এখনই পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই এ অঞ্চল ইলিশ শূন্যের আশঙ্কা পরিবেশবদীদের। যদিও এব্যপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসন।
মৎস্যজীবীরা জানান, দেশের একশ নদীর মোট ছয়টি স্থানকে ইলিশ প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ন অঞ্চল হিসেবে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয। এরমধ্যে পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৩৯ কিলোমিটার এবং তেতুলিয়া নদীর ৬১ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের পঞ্চম অভয়াশ্রম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
কিন্তু আন্ধারমানিক নদীটি গত দুইবছর ধরে দুষণ আর দখলে বিলুপ্তির পথে। কলাপাড়া পৌরসভার যাবতীয় বর্জ, ময়লা আবর্জনা আর পলিথিনে নষ্ট হচ্ছে নদীর গতিপথ। দুষিত হচ্ছে প্রবাহমান পানি। মরে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। হুমকীতে রয়েছে জীব বৈচিত্র।
‘বাপা’ কলাপাড়া আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ শাহাদৎ হোসেন জানান, এক সময়ের খরস্রোতা এই নদীর নাব্যতা সংকট এখন চরম আকারে দেখা দিয়েছে। দুষণের পাশাপশি নদীর তীর দখলের উৎসব চলছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরবে ইলিশের এমন আশঙ্কা এই পরিবেশবিদদের।
নদী দুষণের কথা স্বীকার করে দ্রুত বর্জ্য অপসারণের আশ্বাস দিলেন পৌর মেয়র বিপুল হাওলাদার।
দুষণ-দখলে অভয়াশ্রমে এখনই কোন ধরনের প্রভাব পরবেনা। তবুও এ থেকে রক্ষায় স্থানীয়দের সচেতন হবার পরামর্শ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এএসএম তানবিরুল হকের।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অনুপ দাশ জানান, নদীর তীর দখলমুক্ত করার অভিযান অব্যাহত আছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান জানান, আন্ধারমানিক নদী বর্জ মুক্ত করতে পৌরসভাকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত সময়ে সফলতা আসবে।