• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলনে ডাঃ দীপু মনিও হতে পারেন আওয়ামী লীগ সম্পাদক

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী, চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২)। আগামী ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিল। ওই কাউন্সিলে এবার প্রার্থী হবেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের এমপি। এতে স্বাভাবিকভাবেই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথমে রয়েছেন মাহবুব আলম হানিফ এমপি। এরপরেই আছেন ডাঃ দীপু মনি। দীপু মনির পরে আরো দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান এমপি। নিজ যোগ্যতা, সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে জনপ্রিয়তা ও দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ডাঃ দীপু মনিও হতে পারেন সাধারণ সম্পাদক।

১৯৪৯ সালে ২৩ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনের কেএম বশির হুমায়ুনের বাসভবন রোজ গার্ডেন-এ আতাউর রহমানের খানের সভাপতিত্বে মাওলানা আবদুল খান ভাসনীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগ গঠন করা হয়।

এরপর ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন হয়। ওই কাউন্সিলে ভাসানী সভাপতি, শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পর্যায়ক্রমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অদ্য পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ নারী সম্পাদক না থাকলেও সভাপতি পদে রয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮১ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি সভানেত্রী নির্বাচিত হন। এর পূর্বে ১৯৭৭ সালে ৪ এপ্রিল দলের কাউন্সিল অধিবেশনে জোহরা তাজ উদ্দিন আহবায়িকা নির্বাচিত হন।

সারা বিশে^ এখন নারী নেতৃত্বের বিপ্লব। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এগিয়েও আছেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, স্পীকারেরমত গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী রয়েছেন। তাহলে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদক পদটিও নির্বাচিত নারী নেতৃত্বে অলংকৃত হতে পারে।

সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসবেন বিষয়টি আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, কাউন্সিলরদের মতামত, দলীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের উপর নির্ভরশীল। সর্বপরি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিবেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পারসোনালি আমি কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। নেত্রী যাকে ইচ্ছা দেবেন। আমাকে যদি তিনি থাকতে বলেন সেটা তিনি বলতে পারেন। আবার বলতে পারেন বিদায়, আরেকজন আসবে, নতুন মুখ আসবে। ওয়েলকাম, কোনো অসুবিধা নেই’- যোগ করেন কাদের।

আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেটিকে সামনে রেখে সাংবাদিকরা দলের সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করেন। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ সম্পাদকের পদটি পার্টির সর্বোচ্চ পদধারীর নির্দেশেই চলে। এ ক্ষেত্রে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের সাধারণ সম্পাদক একবার হয়েছি, এটাই সম্মানের। সারাজীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবেই থাকতে চাই।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সভাপতি অপরিবর্তিত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে। আরও কয়েকজনের নামও আসছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে আমাদের সভাপতি পার্টির সুপ্রিমও শেখ হাসিনা। আমাদের পার্টিতে বারে বারে যেটা হয় দলের কাউন্সিলরা সবসময় নেতৃত্ব নির্বাচনে নেত্রীর মনোভাবের ওপর সবকিছু ছেড়ে দেন। জেনারেল সেক্রেটারি পদটি পার্টির সুপ্রিমওর নির্দেশনায় চলে। এখানে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে।’

তিনি বলেন, ‘নেত্রীর ইচ্ছার বাইরে আসলে কিছু হয় না। নেত্রী জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে যাকেই চয়েজ করেন আওয়ামী লীগের কর্মী-কাউন্সিলররা তার প্রতি ঝুঁকে পড়েন। আমি ভাগ্যবান মানুষ; আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি হয়েছি। অনেক কর্মী আজীবন ত্যাগ করেও এই পদটি পাননি। একবার হয়েছি এটাই বিরাট সম্মানের ব্যাপার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ অর্থাৎ ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়েদুল কাদের।

জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতিশেখ হাসিনা’র সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভাশেষে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আজকের সভায় ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হবে।

লিখেছেন: আব্দুল বারেক, সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।
সূত্র: জাতীয় গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব সাইট।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!