notunerkotha.com
পাবনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে সদর থানা চত্বরে অভিযুক্ত এক ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হককে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় সদর থানার উপপরিদর্শক একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলায় হোসেন আলী ও সঞ্জু নামে আরও দুই আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সদর থানার দাপুনিয়ায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর মামলা না নিয়ে ধর্ষকের সাথে বিয়ের ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে পুলিশ ঘটনা তদন্তে নামে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় ধর্ষণ মামলা হিসেবে মামলাটি নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এ মামলায় অভিযুক্ত রাসেল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে, পুলিশ আরও দুই আসামি হোসেন আলী ও সঞ্জুকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে মামলার মোট পাঁচ আসামির চারজন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে রাসেল ও হোসেন ১৬৪ ধারায় ধর্ষণের স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক নারীকে গত ২৯ আগস্ট রাতে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে অপহরণ করে টানা চারদিন ধরে গণধর্ষণ করে।
পরে গৃহবধূ বাদি হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করলেও মামলা নথিভুক্ত না করে ধর্ষিতাকে তার সাথে থানা চত্বরে বিয়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে জেলায় নিন্দার ঝড় ওঠে।