কে হবে তিন সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র? আলোচনায় আসেনি নতুন মুখ

  • আপডেট: ০৬:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২০

notunerkotha.com

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত হলেও তিন সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এমনকি যোগ্য বিকল্প প্রার্থীর নামও লাইমলাইটে আসেনি। এ কারণে দলের ভিতরে-বাইরে আলোচনা হচ্ছে দক্ষিণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, উত্তরে আতিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ঘিরে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের একটি মহল প্রচারণা চালাচ্ছেন, তিন সিটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু বর্তমান তিন মেয়রের তুলনায় অধিকতর গ্রহণযোগ্য কোনো প্রার্থীর নাম তারা সামনে আনতে পারেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এর পরে মার্চে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে। সেই সঙ্গে আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কয়েক মাস পর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সিটি নির্বাচনে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জোর করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচনে জিততে চান না। আমরা জনগণকে খুশি করে জনগণের রায় মেনে নির্বাচিত হতে চাই।’ জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা কেউ যদি ভাবেন ক্ষমতায় আছি জিতেই যাব, তাহলে ভুল করবেন। আপনাকে জনগণের মন জয় করে, জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হতে হবে। সিটি নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।’ তিন সিটিসহ স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে প্রার্থীও চূড়ান্ত পর্যায়ে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে লড়বেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। তাদের বিপরীতে শক্তিশালী প্রার্থী মনোনয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টানা ৫ বছর মেয়র থেকে সাঈদ খোকন ও আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের ভিতরে-বাইরে একটি বলয় সৃষ্টি করেছে। আতিকের মেয়র হওয়ার বেশিদিন না হলেও তিনিও একটি অবস্থান দাঁড় করিয়েছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে আরও বুঝেশুনে দলটি সিদ্ধান্ত নেবে। আপাতত তারা বিকল্প কিছু ভাবছেন না। রাজধানীর সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এর প্রায় চার বছর পর দুই সিটিতে নির্বাচন হয়। একই সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক, দক্ষিণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হন ব্যবসায়ী নেতা মো. আতিকুল ইসলাম। ৭ মার্চ শপথ নেন তিনি

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস’সহ ২০৬ জনকে আসামী করে মামলা

কে হবে তিন সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র? আলোচনায় আসেনি নতুন মুখ

আপডেট: ০৬:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

notunerkotha.com

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত হলেও তিন সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এমনকি যোগ্য বিকল্প প্রার্থীর নামও লাইমলাইটে আসেনি। এ কারণে দলের ভিতরে-বাইরে আলোচনা হচ্ছে দক্ষিণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, উত্তরে আতিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ঘিরে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের একটি মহল প্রচারণা চালাচ্ছেন, তিন সিটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু বর্তমান তিন মেয়রের তুলনায় অধিকতর গ্রহণযোগ্য কোনো প্রার্থীর নাম তারা সামনে আনতে পারেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এর পরে মার্চে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে। সেই সঙ্গে আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কয়েক মাস পর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সিটি নির্বাচনে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জোর করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচনে জিততে চান না। আমরা জনগণকে খুশি করে জনগণের রায় মেনে নির্বাচিত হতে চাই।’ জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা কেউ যদি ভাবেন ক্ষমতায় আছি জিতেই যাব, তাহলে ভুল করবেন। আপনাকে জনগণের মন জয় করে, জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হতে হবে। সিটি নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।’ তিন সিটিসহ স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে প্রার্থীও চূড়ান্ত পর্যায়ে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে লড়বেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। তাদের বিপরীতে শক্তিশালী প্রার্থী মনোনয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টানা ৫ বছর মেয়র থেকে সাঈদ খোকন ও আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের ভিতরে-বাইরে একটি বলয় সৃষ্টি করেছে। আতিকের মেয়র হওয়ার বেশিদিন না হলেও তিনিও একটি অবস্থান দাঁড় করিয়েছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে আরও বুঝেশুনে দলটি সিদ্ধান্ত নেবে। আপাতত তারা বিকল্প কিছু ভাবছেন না। রাজধানীর সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এর প্রায় চার বছর পর দুই সিটিতে নির্বাচন হয়। একই সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক, দক্ষিণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হন ব্যবসায়ী নেতা মো. আতিকুল ইসলাম। ৭ মার্চ শপথ নেন তিনি