ফায়দা লুটতে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট: ১২:২৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৭

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। রাহিঙ্গা ইস্যুতে জাতি ঐক্যবদ্ধ আছে। এর জন্য বিএনপির জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন নেই এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে চায় না বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। সারা বিশ্ব এখন মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। এখন এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বিএমএ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএ এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য শহীদুল্লাহ সিকদার, বিএমএ এর নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ, ডা, শফিকুর রহমান, ডা. জামালউদ্দিন খলিফা, ডা. মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এতে আপনারা কখনও সাড়া পাবেন না। আপনাদের জাতীয় ঐক্য করতে হবে না। এই ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য আছে। আপনারা কি চান মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। আমরা যুদ্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাই না। কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে, সুক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। ’

তিনি আরও বলেন, বিদেশি দূতাবাসের কুটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতারা বৈঠক করেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে গত দুই বছর কূটনীতিকদের কাছে বিএনপির নেতাদের কোনো কথা বলতে শুনিনি। এ সমস্যা নিয়ে কোনো দিন তারা কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এখন বলছে সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গারা ফেরত যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সরকার সারা বিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের উপর বিদেশি চাপ অব্যাহত আছে, এই চাপ আরও বাড়বে।

‘সেখানে কিছু এনজিও লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এই এনজিওরা চক্রান্ত করছে।’ ফখরুল সাহেবদের কি আঁতাত হয়েছে এই এনজিওদের সঙ্গে প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তারা বিশৃঙ্খলা করতে চায়, এটাই তাদের লক্ষ্য। একের পর এক ব্যর্থ হয়ে এখন তারা উন্মাদের মতো ইস্যু খুঁজছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেড় বছর জেলে। এ নিয়ে দেড় মিনিটও তারা আন্দোলন করতে পারেনি। অনেক দলের অনেক ব্যর্থতা আছে, কিন্তু বিএনপির মতো এমন ব্যর্থ দল আর নেই। কোনো ইস্যু না পেয়ে এখন রোহিঙ্গাদের উপর ভর করেছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশিতে নবাবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেনাপতি মীর জাফর, ইয়ার লতিফ। আর ১৫ আগস্ট বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল মোস্তাক ও সেনাপতি জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়া আর ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক। বাসস

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

ফায়দা লুটতে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

আপডেট: ১২:২৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯

নতুনেরকথা ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। রাহিঙ্গা ইস্যুতে জাতি ঐক্যবদ্ধ আছে। এর জন্য বিএনপির জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন নেই এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে চায় না বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। সারা বিশ্ব এখন মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। এখন এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বিএমএ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএ এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য শহীদুল্লাহ সিকদার, বিএমএ এর নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ, ডা, শফিকুর রহমান, ডা. জামালউদ্দিন খলিফা, ডা. মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এতে আপনারা কখনও সাড়া পাবেন না। আপনাদের জাতীয় ঐক্য করতে হবে না। এই ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য আছে। আপনারা কি চান মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। আমরা যুদ্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাই না। কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে, সুক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। ’

তিনি আরও বলেন, বিদেশি দূতাবাসের কুটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতারা বৈঠক করেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে গত দুই বছর কূটনীতিকদের কাছে বিএনপির নেতাদের কোনো কথা বলতে শুনিনি। এ সমস্যা নিয়ে কোনো দিন তারা কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এখন বলছে সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গারা ফেরত যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সরকার সারা বিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের উপর বিদেশি চাপ অব্যাহত আছে, এই চাপ আরও বাড়বে।

‘সেখানে কিছু এনজিও লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এই এনজিওরা চক্রান্ত করছে।’ ফখরুল সাহেবদের কি আঁতাত হয়েছে এই এনজিওদের সঙ্গে প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তারা বিশৃঙ্খলা করতে চায়, এটাই তাদের লক্ষ্য। একের পর এক ব্যর্থ হয়ে এখন তারা উন্মাদের মতো ইস্যু খুঁজছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেড় বছর জেলে। এ নিয়ে দেড় মিনিটও তারা আন্দোলন করতে পারেনি। অনেক দলের অনেক ব্যর্থতা আছে, কিন্তু বিএনপির মতো এমন ব্যর্থ দল আর নেই। কোনো ইস্যু না পেয়ে এখন রোহিঙ্গাদের উপর ভর করেছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশিতে নবাবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেনাপতি মীর জাফর, ইয়ার লতিফ। আর ১৫ আগস্ট বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল মোস্তাক ও সেনাপতি জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়া আর ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক। বাসস