ঈদের ছবি দর্শক খরায়

  • আপডেট: ০৮:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪১

অনলাইন ডেস্ক:

ঈদের ছবি মুক্তির দশ দিন পার হয়ে গেল। এবারের ঈদে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এখনও প্রেক্ষাগৃহগুলোয় চলছে এসব ছবি। কিন্তু ঈদ উৎসব হিসেবে এবার প্রেক্ষাগৃহগুলোয় দর্শক সমাগম একেবারেই কম।

যে ক’জন দর্শক ছবি দেখছেন তারা একান্তই শাকিব খানের জন্যই দেখছেন। অন্য ছবিগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক।

শাকিব খান ঢাকাই ছবির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। তার বিকল্প এ মুহূর্তে কেউ নেই। কবে নাগাদ তৈরি হবে সেটিও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না।

এ নায়কের ছবি মানেই সিনেমাহলে তার ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। তাই তাকে নিয়েই ছবি নির্মাণের আগ্রহ কমবেশি সব নির্মাতারই আছে।

কিন্তু পারিশ্রমিক ও বাজেটের কথা বিবেচনা করে অনেকেই নিজের সুপ্ত ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারেন না। যারা পারেন তারা সৌভাগ্যবান! আদতে সত্যিই কি তারা সৌভাগ্যবান? যদি তাই হতো তাহলে এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু সেই সৌভাগ্যবানের খাতায় নাম লেখাতে পারেননি কেন?

যদিও এ নির্মাতা শাকিব খানকে নিয়ে আগেও ছবি বানিয়েছেন এবং সেটি ব্যবসাসফলও হয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই সৌভাগ্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি।

ফলে হাল আমলে এসে শাকিব খানকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করে ঈদের মতো বড় উৎসবে মুক্তি দিয়েও জাকির হোসেন রাজু এ সময়ের সৌভাগ্যবান নির্মাতার তালিকায় নাম লেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর কারণ কী?

তবে কি ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবিটির গল্প, নির্মাণশৈলী কিংবা পাত্রপাত্রীদের অভিনয় মানসম্মত ছিল না? এর উত্তর ‘অবশ্যই ছিল’। তাহলে কেন শাকিব খানকে নিয়ে নির্মিত ছবি ঈদে মুক্তি দিয়েও আশানুরূপ দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছেন নির্মাতা?

এই প্রশ্নের উত্তরে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এ ছবির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রচার করতে পারেননি বা করেননি শাকিব খান। অনেকে বলেছেন, হয়তো নিজের প্রযোজনার ছবি হলে শাকিব প্রচারণাটা ঠিকমতো করতেন। কিন্তু এটি ছবির দর্শক কম হওয়ার কোনো শক্ত যুক্তি হতে পারে না।

শাকিব হয়তো প্রচারণা কম করেছেন। তার হাতে আরও দুটি ছবির শুটিং ছিল। এ কারণে সময় পাননি। তা ছাড়া নিজের প্রযোজনার ছবির বাইরে প্রচারণার দায়িত্বও তার অভিনয়ের শর্তের মধ্যে পড়ে না। নিজস্ব প্রযোজনার ছবিতে যেহেতু অর্থলগ্নি থাকে, তাই সেটার অধিক প্রচারণা করাটা স্বাভাবিক।

যেহেতু ওই ছবিতে তার ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রযোজনার ছবিতে তার দায়িত্ব মানসম্মত অভিনয় করা। প্রচারণার জন্য যদি সময় পান, তাহলে করতে পারেন। এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয়। এটাও ঠিক, শাকিব খান যেহেতু প্রচারণা করেননি তাই তার বেশিরভাগ ভক্তও ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির প্রচারণা চালানো থেকে বিরত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে এসব ভক্তকুলকে ‘স্বার্থপর’ বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না।

আরেকটি কারণে ছবিটি নিয়ে শাকিবভক্তদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে। এমনিতেই শাকিব খানের নিজস্ব প্রযোজনার বাইরে দেশি পরিচালকের নির্মিত ছবি নিয়ে ভক্তদের মাঝে উচ্ছ্বাস বরাবরই কম দেখা গেছে। সেটা প্রচারণাই হোক কিংবা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখাই হোক।

তাদের এ অনীহা সাধারণ দর্শকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাই হয়তো তারাও প্রেক্ষাগৃহে যাননি। অথচ নির্মাণের দিক থেকে ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ দেশীয় প্রেক্ষাপটে একটি মোটামুটি মানের ছবি।

ছবিতে শাকিব ও বুবলীর অভিনয়ও প্রশংসনীয়। আরও রয়েছে সাবেরী আলম, সাদেক বাচ্চু, মিশা সওদাগর, ডনের উপস্থিতি। শুধু দর্শকদের অনাগ্রহের কারণে এ ছবিটি ঈদের ব্যবসাসফল ছবি হতে পারল না। তারপরও তুলনামূলক বিচারে ঈদের ছবির ব্যবসায়িক কিংবা সফলতার তালিকায় এটিই এক নম্বরে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে ঈদের আরেক ছবি ‘বেপরোয়া’ নিয়েও কোনো আগ্রহ নেই দর্শকদের মধ্যে। এমনিতেই ঈদে শাকিব খানের ছবি মুক্তি দেয়া মানে অন্য ছবিগুলোর অবস্থা হয় ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’। তাই শাকিব খানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্য ছবির টিকে থাকা অনেকটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। এই মুশকিলের মধ্যেই পড়েছে ‘বেপরোয়া’।

নির্মাণের দিক থেকে এ ছবিটি অনেকটা উন্নত। এর পরিচালক কলকাতার রাজা চন্দ। ছবিতে অভিনয় করেছেন ইয়ামিন হক ববি ও রোশান। যদিও এ ছবিটি এর আগেও একবার নিয়ম রক্ষার খাতিরে একটিমাত্র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। ঈদে ব্যবসা করার আশায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ছবিটি ফের মুক্তি দিলেও সফলতা শূন্য।

এ ছবিটি থেকেও দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যারা দেখেছেন তাদের মন্তব্য হচ্ছে ‘খাপছাড়া গল্প’। অন্যদিকে ঈদে ‘ভালোবাসার জ্বালা’ নামে পুরনো আমলের নাগ-নাগিন অর্থাৎ সাপকেন্দ্রিক গল্পের একটি ছবিও মুক্তি পেয়েছে। ছবির পরিচালক বশির আহমেদ।

এক নাগকে মেরে ফেলে নায়কের বাবা, প্রতিশোধ নিতে নায়কের পুরো বংশ শেষ করে দেয়ার অঙ্গীকার করে নাগিনী- এমন গল্পের ছবিটি থেকে আধুনিক সময়ের দর্শকরা মুখ ঘুরিয়ে রাখবেন সেটা আগেই আন্দাজ করেছেন অনেকে। তবু যেহেতু বানিয়ে ফেলেছেন, তাই মুক্তি তো দিতেই হবে- এ কারণে প্রযোজক ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন।

এবারে ঈদের ছবিগুলোর দর্শক অনাগ্রহের বড় কারণ হচ্ছে ‘ডেঙ্গু’ সতর্কতা কিংবা সচেতনতা। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া দেশের বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহের অবস্থা শোচনীয়।

সেখানে গেলে এডিস মশা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন- এমন শঙ্কা থেকেও সাধারণ দর্শকরা ঈদের ছবি দেখা থেকে বিরত ছিলেন। পাশাপাশি বৃষ্টি বাগড়া তো ছিলই। সবমিলিয়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের কোরবানি ঈদের ছবি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও একবার হতাশার গ্লানি বহন করতে হচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

ঈদের ছবি দর্শক খরায়

আপডেট: ০৮:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

ঈদের ছবি মুক্তির দশ দিন পার হয়ে গেল। এবারের ঈদে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এখনও প্রেক্ষাগৃহগুলোয় চলছে এসব ছবি। কিন্তু ঈদ উৎসব হিসেবে এবার প্রেক্ষাগৃহগুলোয় দর্শক সমাগম একেবারেই কম।

যে ক’জন দর্শক ছবি দেখছেন তারা একান্তই শাকিব খানের জন্যই দেখছেন। অন্য ছবিগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক।

শাকিব খান ঢাকাই ছবির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। তার বিকল্প এ মুহূর্তে কেউ নেই। কবে নাগাদ তৈরি হবে সেটিও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না।

এ নায়কের ছবি মানেই সিনেমাহলে তার ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। তাই তাকে নিয়েই ছবি নির্মাণের আগ্রহ কমবেশি সব নির্মাতারই আছে।

কিন্তু পারিশ্রমিক ও বাজেটের কথা বিবেচনা করে অনেকেই নিজের সুপ্ত ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারেন না। যারা পারেন তারা সৌভাগ্যবান! আদতে সত্যিই কি তারা সৌভাগ্যবান? যদি তাই হতো তাহলে এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু সেই সৌভাগ্যবানের খাতায় নাম লেখাতে পারেননি কেন?

যদিও এ নির্মাতা শাকিব খানকে নিয়ে আগেও ছবি বানিয়েছেন এবং সেটি ব্যবসাসফলও হয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই সৌভাগ্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি।

ফলে হাল আমলে এসে শাকিব খানকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করে ঈদের মতো বড় উৎসবে মুক্তি দিয়েও জাকির হোসেন রাজু এ সময়ের সৌভাগ্যবান নির্মাতার তালিকায় নাম লেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর কারণ কী?

তবে কি ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবিটির গল্প, নির্মাণশৈলী কিংবা পাত্রপাত্রীদের অভিনয় মানসম্মত ছিল না? এর উত্তর ‘অবশ্যই ছিল’। তাহলে কেন শাকিব খানকে নিয়ে নির্মিত ছবি ঈদে মুক্তি দিয়েও আশানুরূপ দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছেন নির্মাতা?

এই প্রশ্নের উত্তরে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এ ছবির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রচার করতে পারেননি বা করেননি শাকিব খান। অনেকে বলেছেন, হয়তো নিজের প্রযোজনার ছবি হলে শাকিব প্রচারণাটা ঠিকমতো করতেন। কিন্তু এটি ছবির দর্শক কম হওয়ার কোনো শক্ত যুক্তি হতে পারে না।

শাকিব হয়তো প্রচারণা কম করেছেন। তার হাতে আরও দুটি ছবির শুটিং ছিল। এ কারণে সময় পাননি। তা ছাড়া নিজের প্রযোজনার ছবির বাইরে প্রচারণার দায়িত্বও তার অভিনয়ের শর্তের মধ্যে পড়ে না। নিজস্ব প্রযোজনার ছবিতে যেহেতু অর্থলগ্নি থাকে, তাই সেটার অধিক প্রচারণা করাটা স্বাভাবিক।

যেহেতু ওই ছবিতে তার ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রযোজনার ছবিতে তার দায়িত্ব মানসম্মত অভিনয় করা। প্রচারণার জন্য যদি সময় পান, তাহলে করতে পারেন। এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয়। এটাও ঠিক, শাকিব খান যেহেতু প্রচারণা করেননি তাই তার বেশিরভাগ ভক্তও ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির প্রচারণা চালানো থেকে বিরত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে এসব ভক্তকুলকে ‘স্বার্থপর’ বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না।

আরেকটি কারণে ছবিটি নিয়ে শাকিবভক্তদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে। এমনিতেই শাকিব খানের নিজস্ব প্রযোজনার বাইরে দেশি পরিচালকের নির্মিত ছবি নিয়ে ভক্তদের মাঝে উচ্ছ্বাস বরাবরই কম দেখা গেছে। সেটা প্রচারণাই হোক কিংবা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখাই হোক।

তাদের এ অনীহা সাধারণ দর্শকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাই হয়তো তারাও প্রেক্ষাগৃহে যাননি। অথচ নির্মাণের দিক থেকে ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ দেশীয় প্রেক্ষাপটে একটি মোটামুটি মানের ছবি।

ছবিতে শাকিব ও বুবলীর অভিনয়ও প্রশংসনীয়। আরও রয়েছে সাবেরী আলম, সাদেক বাচ্চু, মিশা সওদাগর, ডনের উপস্থিতি। শুধু দর্শকদের অনাগ্রহের কারণে এ ছবিটি ঈদের ব্যবসাসফল ছবি হতে পারল না। তারপরও তুলনামূলক বিচারে ঈদের ছবির ব্যবসায়িক কিংবা সফলতার তালিকায় এটিই এক নম্বরে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে ঈদের আরেক ছবি ‘বেপরোয়া’ নিয়েও কোনো আগ্রহ নেই দর্শকদের মধ্যে। এমনিতেই ঈদে শাকিব খানের ছবি মুক্তি দেয়া মানে অন্য ছবিগুলোর অবস্থা হয় ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’। তাই শাকিব খানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্য ছবির টিকে থাকা অনেকটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। এই মুশকিলের মধ্যেই পড়েছে ‘বেপরোয়া’।

নির্মাণের দিক থেকে এ ছবিটি অনেকটা উন্নত। এর পরিচালক কলকাতার রাজা চন্দ। ছবিতে অভিনয় করেছেন ইয়ামিন হক ববি ও রোশান। যদিও এ ছবিটি এর আগেও একবার নিয়ম রক্ষার খাতিরে একটিমাত্র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। ঈদে ব্যবসা করার আশায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ছবিটি ফের মুক্তি দিলেও সফলতা শূন্য।

এ ছবিটি থেকেও দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যারা দেখেছেন তাদের মন্তব্য হচ্ছে ‘খাপছাড়া গল্প’। অন্যদিকে ঈদে ‘ভালোবাসার জ্বালা’ নামে পুরনো আমলের নাগ-নাগিন অর্থাৎ সাপকেন্দ্রিক গল্পের একটি ছবিও মুক্তি পেয়েছে। ছবির পরিচালক বশির আহমেদ।

এক নাগকে মেরে ফেলে নায়কের বাবা, প্রতিশোধ নিতে নায়কের পুরো বংশ শেষ করে দেয়ার অঙ্গীকার করে নাগিনী- এমন গল্পের ছবিটি থেকে আধুনিক সময়ের দর্শকরা মুখ ঘুরিয়ে রাখবেন সেটা আগেই আন্দাজ করেছেন অনেকে। তবু যেহেতু বানিয়ে ফেলেছেন, তাই মুক্তি তো দিতেই হবে- এ কারণে প্রযোজক ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন।

এবারে ঈদের ছবিগুলোর দর্শক অনাগ্রহের বড় কারণ হচ্ছে ‘ডেঙ্গু’ সতর্কতা কিংবা সচেতনতা। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া দেশের বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহের অবস্থা শোচনীয়।

সেখানে গেলে এডিস মশা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন- এমন শঙ্কা থেকেও সাধারণ দর্শকরা ঈদের ছবি দেখা থেকে বিরত ছিলেন। পাশাপাশি বৃষ্টি বাগড়া তো ছিলই। সবমিলিয়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের কোরবানি ঈদের ছবি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও একবার হতাশার গ্লানি বহন করতে হচ্ছে।