নব্বই দশকে সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান করে নেয় ‘কমলার বনবাস’ সিনেমাটি। এটি খুবই জনপ্রিয় একটি সিনেমা ছিলো। ছবিটি দেখতে হলে রীতিমতো একটা হইহল্লোড় পড়ে যায়। ১৯৯৭ সালে এটি মুক্তি পায়। দেশের পাশাপাশি একই নামে কলকাতাতেও এই সিনেমাটি মুক্তি পায় এবং ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নাম লিখিয়ে নেয়। কিন্তু এত বছর পর আমেরিকার নির্বাচনে কমলার হ্যারিসের পরাজয়ের পর বাংলাদেশে আবারও এই সিনেমাটি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে ছবির পোস্টার শেয়ার করছেন অনেকে; কেউ কেউ ফেসবুক পোস্টে ছবির নাম লিখেছেন।
অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহসহ অনেকেই ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কমলার বনবাস’; সঙ্গে দুঃখের ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন। বিজরীর পোস্টে ২ হাজার ৮০০–এরও বেশি রিঅ্যাকশন এসেছে। সাড়ে ৩শ’র বেশি মন্তব্য এসেছে।
তাছাড়া বুধবার বিকেলে দেখা গেছে, ফেসবুকে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশিবার ‘কমলার বনবাস’ শব্দটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শুধু সিনেমা নয়, কমলার বনবাস নিয়ে বহু যাত্রাপালাও হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের দর্শকের মাঝে কমলা চরিত্রটি তুমুল জনপ্রিয়।
কমলারবনবাস ছবিটির পোস্টার প্রথম কে বা কাহারা ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন তা বুঝা না গেলেও এটিযে আবারো ভাইরাল হয়েছে তা কিন্তু সত্য। এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের একটি মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্চে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।
দেশে ‘কমলার বনবাস’ নির্মাণ করেছিলেন ফিরোজ আল মামুন। এতে অভিনয় করেন আনোয়ার শরীফ, রেবেকা, নাসির খানসহ আরও অনেকে।
কলকাতায় একই নামে আরেকটি ছবি নির্মাণ করেছেন পরিচালক স্বপন সাহা। এতে তাপস পাল, শতাব্দী রায়সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
হঠাৎ করে ছবিটি নিয়ে এত চর্চা কেন? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ফেসবুকে কেউ কেউ ইঙ্গিত করছেন, মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের ভরাডুবিকে প্রতীকীভাবে ‘কমলার বনবাস’–এর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ৭৮ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প ৬০ বছর বয়সি কমলা হ্যারিসকে হারিয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালে তিনি আরেক নারী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তবে সবাই বলছিলেন কমলা হ্যারিস বিজয়ী হবে। তবে মার্কিনীরা যে, এখনো নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেনাত, কমলার ভরাডুবিতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে।