মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৩:৪৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৪

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর দেশে ফিরতে না পারা ছিল মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক। স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় থাকলে দেশ কখনো উন্নত হয় না।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিল। চালের দাম ১০টাকা থেকে ৩ টাকায় নেমে এসেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যখন ব্যাহত করা যাচ্ছিল না তখনই ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। তারা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ইশারা পেয়েছিল। খুনিদের এমন মনোভাব ছিল যে তাদের কিছুই হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি সামরিক আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসেন। জিয়া বন্দুকের নলের জোরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এরপর তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল ছিল অবৈধ। হাইকোর্ট রায় দিয়ে তাদের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সুতরাং তাদের রাষ্ট্রপতি বলা যায় না। তারা হলেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বিজয় এসেছিল তার প্রতিশোধ নিতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা দেশকে গড়ে উঠতে দিতে চায়নি।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘বাঙ্গালী হয়ে তারা পাকিস্তানী হানদারকে সাহায্য করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতি ঠেকাতেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল স্বাধীনতার দোসররা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল ইয়াহিয়া। যুদ্ধের সময় এক বছর কোন ফসল উৎপাদিত হয়নি। একটা দেশ তখন সম্পূর্ণভাবে অচল ছিল। জ্বালাও, পোড়াও, লাশের পর লাশ, রক্তে রঙ্গিন হয়েছিল নদীর পানি। দেশকে গড়ার জন্য জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন।’

একটা দেশ দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিধ্বস্ত একটা দেশকে গড়ে তুলতৈ হবে। ক্ষত বিক্ষত দেশ। একদিনে এ দেশ গড়ে ওঠে না এই উপলব্দি আসলে ১৫ আগস্ট আসেনি। আসলে এমনটি হতো না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে ১৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৩:৪৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর দেশে ফিরতে না পারা ছিল মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক। স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় থাকলে দেশ কখনো উন্নত হয় না।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিল। চালের দাম ১০টাকা থেকে ৩ টাকায় নেমে এসেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যখন ব্যাহত করা যাচ্ছিল না তখনই ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। তারা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ইশারা পেয়েছিল। খুনিদের এমন মনোভাব ছিল যে তাদের কিছুই হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি সামরিক আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসেন। জিয়া বন্দুকের নলের জোরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এরপর তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল ছিল অবৈধ। হাইকোর্ট রায় দিয়ে তাদের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সুতরাং তাদের রাষ্ট্রপতি বলা যায় না। তারা হলেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বিজয় এসেছিল তার প্রতিশোধ নিতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা দেশকে গড়ে উঠতে দিতে চায়নি।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘বাঙ্গালী হয়ে তারা পাকিস্তানী হানদারকে সাহায্য করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতি ঠেকাতেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল স্বাধীনতার দোসররা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল ইয়াহিয়া। যুদ্ধের সময় এক বছর কোন ফসল উৎপাদিত হয়নি। একটা দেশ তখন সম্পূর্ণভাবে অচল ছিল। জ্বালাও, পোড়াও, লাশের পর লাশ, রক্তে রঙ্গিন হয়েছিল নদীর পানি। দেশকে গড়ার জন্য জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন।’

একটা দেশ দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিধ্বস্ত একটা দেশকে গড়ে তুলতৈ হবে। ক্ষত বিক্ষত দেশ। একদিনে এ দেশ গড়ে ওঠে না এই উপলব্দি আসলে ১৫ আগস্ট আসেনি। আসলে এমনটি হতো না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে ১৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’