চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটধারীদের পোয়াবারো

  • আপডেট: ০৩:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪০

অনলাইন ডেস্ক:

কোরবানির পর পশুর চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না কোরবানিদাতারা। আর কম দামে চামড়া কিনেও বিপাকে পড়েছেন অনেক মৌসুমী ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। এমনকি এতিমখানা ও মসজিদে দানের চামড়াও বিক্রি হচ্ছে না।

এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ যারছেন সবাই। চলছে সমালোচনা ও প্রতিবাদ। অনেকে লিখেছেন চামড়া না কিনে শেষ পর্যন্ত এতিমদের হকটাও মেরে খেলেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন আল্লাহ এদের বিচার করুক।

স্যোশাল মিডিয়ার উত্তপ্ত হয়ে আছে চামড়া দড় পতন নিয়ে। ফাহাদ আজম নীল নামে একজন পোস্ট দিয়ে লিখেছিলেন, ‘চামড়া ব্যবসায়ীদের এই মহান অপকর্মকে কিভাবে ভোক্তা অধিকার আইনে আনা যায়? একটা চামড়া ২০০ আর জুতা ১২০০০ ! এটা কোনভাবেই মানা যায় না।’

তার এই পোস্টে অনেকে কমেন্ট করে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি আইডিয়াও শেয়ার করেছেন অনেকে।

রাসেল আহমেদ লিখেছেন, ‘চামড়া মাটিতে পুতে দিন। সস্তায় বিক্রি না করলেই তো হয়।’

শরীফ আহমেদ লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষ যদি একটা কোরবানিতে চামড়া বিক্রি না করে মাটিতে পুতে রাখে তাহলে সিণ্ডিকেট ভেঙে যাবে। আট দশ বছর আগেও ছোট সাইজের চামড়ার দাম ১৪০০-১৮০০ মাঝারি সাইজের চামড়ার দাম ১৮০০-২২০০ এবং বড় সাইজের চামড়ার দাম ২২০০-২৮০০ টাকা ছিল। এখন এভারেজ চামড়ার দাম দেয়া হয় ৪০০-৬০০ টাকা। এ টাকা গরীবের হক। কিন্তু মেরে খাওয়া শেষ।’

যারা ১০,০০০ টাকা উপরে কোরবানি করতে পারেন তারা চামড়া বিক্রি না করেও গরীবের জন্য ৫০-১০০ টাকা বের করতে পারবে। তাই উচিত চামড়া বিক্রি বন্ধ করে মাটিতে পুতে দেয়া। শুধু একটা বছর এমন করি না আমরা, পুরো সিন্ডিকেট নড়ে চড়ে উঠবে। ধন্যবাদ।’

জহির নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাদের সবার উচিৎ জুতার দোকানে যেয়ে যত দামি জুতাই হোক না কেন ৫০০ টাকার বেশি না দেয়া।’

আহমেদ ফয়সাল লিখেছেন, ‘একটি সিগারেট এর চেয়ে ছাগলের চামড়ার দাম কম ভাবা যায় !! আর গরুর চামড়া ১৫০-২৫০/- উপর যায়নি ,প্রতিবাদ একটাই চামড়া মাটিতে পুঁতে রেখে দেয়া ,আর গরিব,এতিম ,মিসকিন এর হক নিজেরাই দিয়ে দেয়া অনেকেই এবার এভাবে দিয়েছে ,৭০-৮০হাজার দিয়ে গরু কিনতে পারি ১০০০-১৫০০কি দিতে পারবোনা তাদের ?? মাটিতে কেটে পুঁতে ফেলাই হোক উত্তম প্রতিবাদ, দেশের চামড়ার নাকি মুল্য নাই ..Italian ,chinese লেদার লাগে, ঠিক আছে মামা চাইনিজ ইতালিয়ান যা খুশি নেও তোমাদের সিন্ডিকেট বুঝি না আমরা বুঝি !! ১৫০টাকার চামড়া মূল্য মাগার জুতার মূল্য ৩০০০-৫০০০। জনগণ কি জিনিস বুঝবে সামনের ঈদ থেকে।’

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা হবে। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির ১নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন

চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটধারীদের পোয়াবারো

আপডেট: ০৩:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

কোরবানির পর পশুর চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না কোরবানিদাতারা। আর কম দামে চামড়া কিনেও বিপাকে পড়েছেন অনেক মৌসুমী ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। এমনকি এতিমখানা ও মসজিদে দানের চামড়াও বিক্রি হচ্ছে না।

এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ যারছেন সবাই। চলছে সমালোচনা ও প্রতিবাদ। অনেকে লিখেছেন চামড়া না কিনে শেষ পর্যন্ত এতিমদের হকটাও মেরে খেলেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন আল্লাহ এদের বিচার করুক।

স্যোশাল মিডিয়ার উত্তপ্ত হয়ে আছে চামড়া দড় পতন নিয়ে। ফাহাদ আজম নীল নামে একজন পোস্ট দিয়ে লিখেছিলেন, ‘চামড়া ব্যবসায়ীদের এই মহান অপকর্মকে কিভাবে ভোক্তা অধিকার আইনে আনা যায়? একটা চামড়া ২০০ আর জুতা ১২০০০ ! এটা কোনভাবেই মানা যায় না।’

তার এই পোস্টে অনেকে কমেন্ট করে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি আইডিয়াও শেয়ার করেছেন অনেকে।

রাসেল আহমেদ লিখেছেন, ‘চামড়া মাটিতে পুতে দিন। সস্তায় বিক্রি না করলেই তো হয়।’

শরীফ আহমেদ লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষ যদি একটা কোরবানিতে চামড়া বিক্রি না করে মাটিতে পুতে রাখে তাহলে সিণ্ডিকেট ভেঙে যাবে। আট দশ বছর আগেও ছোট সাইজের চামড়ার দাম ১৪০০-১৮০০ মাঝারি সাইজের চামড়ার দাম ১৮০০-২২০০ এবং বড় সাইজের চামড়ার দাম ২২০০-২৮০০ টাকা ছিল। এখন এভারেজ চামড়ার দাম দেয়া হয় ৪০০-৬০০ টাকা। এ টাকা গরীবের হক। কিন্তু মেরে খাওয়া শেষ।’

যারা ১০,০০০ টাকা উপরে কোরবানি করতে পারেন তারা চামড়া বিক্রি না করেও গরীবের জন্য ৫০-১০০ টাকা বের করতে পারবে। তাই উচিত চামড়া বিক্রি বন্ধ করে মাটিতে পুতে দেয়া। শুধু একটা বছর এমন করি না আমরা, পুরো সিন্ডিকেট নড়ে চড়ে উঠবে। ধন্যবাদ।’

জহির নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাদের সবার উচিৎ জুতার দোকানে যেয়ে যত দামি জুতাই হোক না কেন ৫০০ টাকার বেশি না দেয়া।’

আহমেদ ফয়সাল লিখেছেন, ‘একটি সিগারেট এর চেয়ে ছাগলের চামড়ার দাম কম ভাবা যায় !! আর গরুর চামড়া ১৫০-২৫০/- উপর যায়নি ,প্রতিবাদ একটাই চামড়া মাটিতে পুঁতে রেখে দেয়া ,আর গরিব,এতিম ,মিসকিন এর হক নিজেরাই দিয়ে দেয়া অনেকেই এবার এভাবে দিয়েছে ,৭০-৮০হাজার দিয়ে গরু কিনতে পারি ১০০০-১৫০০কি দিতে পারবোনা তাদের ?? মাটিতে কেটে পুঁতে ফেলাই হোক উত্তম প্রতিবাদ, দেশের চামড়ার নাকি মুল্য নাই ..Italian ,chinese লেদার লাগে, ঠিক আছে মামা চাইনিজ ইতালিয়ান যা খুশি নেও তোমাদের সিন্ডিকেট বুঝি না আমরা বুঝি !! ১৫০টাকার চামড়া মূল্য মাগার জুতার মূল্য ৩০০০-৫০০০। জনগণ কি জিনিস বুঝবে সামনের ঈদ থেকে।’

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা হবে। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের।