অনলাইন ডেস্ক:
কোরবানির পর পশুর চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না কোরবানিদাতারা। আর কম দামে চামড়া কিনেও বিপাকে পড়েছেন অনেক মৌসুমী ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। এমনকি এতিমখানা ও মসজিদে দানের চামড়াও বিক্রি হচ্ছে না।
চামড়া বিক্রির জন্য সারাদিন অপেক্ষা করেছেন অনেকেই, কিন্তু কোনো ক্রেতা মেলেনি। ক্রেতা মিললেও ঠিকঠাক দাম দিতে চায়নি। তাই রাগে-ক্ষোভে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন অনেকে। অনেকে রাস্তায় ফেলেই চলে গেছেন। আবার অনেকে চামড়া কেটে ফেলেছেন।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ যারছেন সবাই। চলছে সমালোচনা ও প্রতিবাদ। অনেকে লিখেছেন চামড়া না কিনে শেষ পর্যন্ত এতিমদের হকটাও মেরে খেলেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন আল্লাহ এদের বিচার করুক।
স্যোশাল মিডিয়ার উত্তপ্ত হয়ে আছে চামড়া দড় পতন নিয়ে। উই আর বাংলাদেশ নামে ফেসবুক পেজে আসাদ আম্বিয়া লিটন নামে একজন লিখেছেন, সিন্ডিকেটের জন্য গরুর চামড়া কম দামে বিক্রি করার চেয়ে যদি খাওয়া যায় তাহলে হালাল না হারাম হবে বিস্তারিত জানতে চাই।
তার এই পোস্টে কমেন্টে আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে আগামী বছর খেলা হবেহ…… সিন্ডিকেট
যুবায়ের আহমেদ কমেন্টে লিখেছেন, সামনের বছর থেকে চামড়ার জ্যাকেট, আর জুতা বানানোর চেষ্টা করব নিজের জন্য। ফেলে দেয়ার/ নামমাত্র মূল্যে দেয়ার চেয়ে অনেক ভাল আর যদি কয়েকবছর পর ভাল মানের তৈরি করতে পারি তবে ত লালে লাল হয়ে যাব।
পিয়াল আহমেদ নামে একজন কমেন্টে লিখেছেন, শেরের উপর যেমন সোয়া শের আছে ঠিক সিন্ডিকেটের উপরেও সোয়া আছে, যেমন: আগামী বার সব কোরবানি ব্যক্তিরা যদি এক হয়ে বলে যে এইবার কেউ চামড়া বিক্রি করব না, চামড়াগুলো আমরা মাটিতে পুতে রাখব তবুও বিক্রি করব না। আর আমরা যারা এত টাকা দিয়ে কোরবানি দেই আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য সুতরাং আরও ৫০০-১০০০ টাকা ফকির মিসকিনকে দানও করতে পারব। আশা করি আমার সাজেশনটা সবার ভালো লাগবে কিন্তু কেউ আমলে নিব না।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা হবে। গত বছর প্রতি বর্গফুটের দাম একই ছিল। ২০১৭ সালে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ঢাকায় ৪৫-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের।