তরুণীকে গণধর্ষণ, ৪ ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

  • আপডেট: ০৫:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ০ Views

যশোরের ঝিকরগাছায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। উপজেলার গদখালীতে বেড়াতে এসে তাদেরে লালসার শিকার হন তিনি। রোববারের এ ঘটনায় খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত চার ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলু রহমান খান বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ঝিকরগাছা থানার ডিউটি অফিসারের কাছে সাহায্যের জন্য আকুতি জানান এক তরুণী। তাৎক্ষণিক তিনি তার ফোর্সসহ গদখালীর পটুয়াপাড়ায় ধর্ষণকারী জাবেদের লিচুবাগানে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে ছাত্রদলের কর্মী জাবের হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে ।

ওসি বাবলু আরো বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায়। বেনাপোলে খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিকালে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে গদখালী ফুল মোড়ে যান। সেখানে চার যুবক তাকে একা পেয়ে পথ আগলে দাঁড়ান। আশপাশে কেউ না থাকায় তারা তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের একটি লিচুবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশে ফোন করেন ভুক্তভোগী।

রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়েই থানায় যান সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআই প্রধান

তরুণীকে গণধর্ষণ, ৪ ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

আপডেট: ০৫:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

যশোরের ঝিকরগাছায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। উপজেলার গদখালীতে বেড়াতে এসে তাদেরে লালসার শিকার হন তিনি। রোববারের এ ঘটনায় খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত চার ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলু রহমান খান বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ঝিকরগাছা থানার ডিউটি অফিসারের কাছে সাহায্যের জন্য আকুতি জানান এক তরুণী। তাৎক্ষণিক তিনি তার ফোর্সসহ গদখালীর পটুয়াপাড়ায় ধর্ষণকারী জাবেদের লিচুবাগানে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে ছাত্রদলের কর্মী জাবের হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে ।

ওসি বাবলু আরো বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায়। বেনাপোলে খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিকালে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে গদখালী ফুল মোড়ে যান। সেখানে চার যুবক তাকে একা পেয়ে পথ আগলে দাঁড়ান। আশপাশে কেউ না থাকায় তারা তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের একটি লিচুবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশে ফোন করেন ভুক্তভোগী।

রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়েই থানায় যান সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।