অনলাইন ডেস্ক:
আবারও দুর্নীতি করতে সরকার এবার মশার নিষিদ্ধ ওষুধ আমদানির পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এমন মন্তব্য করে বলেন, ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে অথচ মশার ওষুধ নেই। যা আছে তাও কাযর্কর হচ্ছে না। হবে কোত্থকে? যে দুর্নীতি তারা করেছে তাতে তো মশার ওষুধ কার্যকর হওয়ার কথা না। এখন নতুন ওষুধ আনবে, সেখানে আরও দুর্নীতি হবে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, দুইটা ওষুধ আনা হচ্ছে সেগুলো নাকি থাইল্যান্ডে একেবারেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা আর কিছু জানে না।
বর্তমান অবস্থাকে হীরক রাজার দেশের সঙ্গে তুলনা করে ফখরুল বলেন, তারা আমদানি করছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়রকে তাদের কনসালটেন্সির জন্য। মনে হচ্ছে হীরক রাজার দেশের চেয়েও অদম হয়ে গেছে। হবু চন্দ্র রাজার গবু চন্দ্র মন্ত্রী। এই অবস্থার মধ্যে আছি আমরা দেশে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্ত হোক গণতন্ত্র, নিশ্চিত হোক সুস্বাস্থ্য শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।
গত ২৫ মে কাউন্সিলরদের ভোটে হারুন আল রশিদ ও আব্দুস সালামের নেতৃত্বে নতুন কমিটি নির্বাচিত হয় যারা ৯ জুলাই জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ড্যাবের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাদের গনি চৌধুরী, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডা. একেএম ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ অবস্থা থেকে আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে। আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। তারাই একমাত্র এই অবস্থা থেকে দেশ ও রাষ্ট্রকে মুক্তি দিতে।
আমি যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারি, আমরা যদি একটা ওয়েব সৃষ্টি করতে পারি তাহলে নিসন্দেহে তারা (সরকার) পরাজিত হবে। কারণ, ইতিহাস বলে পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার বেশিদিন টিকেনি। এ সরকারও টিকবে না। তাই বলব, কেউ হতাশ হবে না, আপনাদের হতাশা পেরিয়ে আশার আলো নিয়েই সামনের দিকে এগুতে হবে।
তিনি বলেন, বার বার এ দুযোর্গ এসেছে, বার বার বিএনপিকে, বিএনপির দর্শনকে ধবংস করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু পারে নাই। প্রত্যেকবার ফিনিক্স পাখির মতোই বিএনপি জেগে উঠেছে আবার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেছে এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আমাদেরকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।
ফখরুল বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার যারা ভোটে নির্বাচিত হয়নি, বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে তাদের কাছে একটা পরিস্কার কথা আমরা বলতে চাই, সময় শেষ হওয়ার আগেই এই সংসদ বাতিল করুন, এই নির্বাচন বাতিল করুন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এদেশের জনগণ জানে কিভাবে এধরনের সরকারকে পরাজিত করতে হয়