বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বৈষম্যবিরোধী প্রেমযাত্রা’

  • আপডেট: ১২:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১২

ছবি-সংগৃহিত।

বসন্তের প্রথমদিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘বৈষম্যবিরোধী প্রেমযাত্রা’ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে ‘বাংলাদেশ প্রেম বঞ্চিত সংঘ’ নামের এক সংগঠনের ব্যানারে মিছিল শুরু করেন তারা।

পরে ছাত্রীদের হল পশ্চিম পাড়াসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মিলিত হন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে, আমি কে- বঞ্চিত, বঞ্চিত’, ‘কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না হবে না’, ‘দেহ দিয়ে প্রেম নয়, মন দিয়ে প্রেম হয়’, ‘প্রেমের নামে প্রহসন, চলবে না চলবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও প্রেম বঞ্চিত সংঘের নেতা সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ভালোবাসা বলতে আমরা শুধু কপোত-কপোতীর ভালোবাসাকেই বুঝি। কিন্তু আমাদের এই সংঘের থিম হলো সব ধরনের ভালোবাসা বঞ্চিতের যে জায়গা সেটা তুলে ধরা। আমাদের শিক্ষকদের কথা যদি বলি, তারা মেয়ে বন্ধুদের যেভাবে ট্রিট করে আমাদের সেভাবে করে না। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে গেলে আমাদের বলে লাঞ্চের পর আসতে। কিন্তু কোনো মেয়ে গেলে তাকে বলে আমাদের সাথেই লাঞ্চ করো। এটাও ভালোবাসাবঞ্চিত একটা ব্যাপার। তাই ভালোবাসা ব্যাপারটি ছেলে-মেয়ে আলাদাভাবে না দেখে সমানভাবে বণ্টন করা হোক।

আরেক শিক্ষার্থী সারথি অনি বলেন, যেসব পুরুষরা প্রেমের নামে ধোঁকা দেয়, একসাথে ২-৩ জনের সাথে প্রেম করে তাদের আমরা সাবধান করে দিতে চাই। বাংলাদেশের আইনে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছোট বোনদের সুরক্ষা করতেই আমার এই পদে আসা।

প্রেম বঞ্চিত সংঘের সভাপতি শাহ্ পরান বলেন, প্রেম বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা প্রেম করবে বিষয়টা এরকম না। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের প্রেম হয়, শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর প্রেম হয়। কিন্তু আমাদের সমাজের সবক্ষেত্রে প্রেমের অসম বণ্টন দেখতে পাওয়া যায়। আপনার সন্তান, প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের থেকে কতটুকু ভালোবাসা পাবে তা নির্ভর করে আপনার কতটুকু অর্থ-সম্পদ আছে তার উপর। এর মাধ্যমে আপনার সন্তানও প্রেম থেকে বঞ্চিত।

বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

সাংবাদিক মুনছুর আহমেদ বিপ্লবের মায়ের দাফন সম্পন্ন, বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বৈষম্যবিরোধী প্রেমযাত্রা’

আপডেট: ১২:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বসন্তের প্রথমদিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘বৈষম্যবিরোধী প্রেমযাত্রা’ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে ‘বাংলাদেশ প্রেম বঞ্চিত সংঘ’ নামের এক সংগঠনের ব্যানারে মিছিল শুরু করেন তারা।

পরে ছাত্রীদের হল পশ্চিম পাড়াসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মিলিত হন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে, আমি কে- বঞ্চিত, বঞ্চিত’, ‘কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না হবে না’, ‘দেহ দিয়ে প্রেম নয়, মন দিয়ে প্রেম হয়’, ‘প্রেমের নামে প্রহসন, চলবে না চলবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও প্রেম বঞ্চিত সংঘের নেতা সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ভালোবাসা বলতে আমরা শুধু কপোত-কপোতীর ভালোবাসাকেই বুঝি। কিন্তু আমাদের এই সংঘের থিম হলো সব ধরনের ভালোবাসা বঞ্চিতের যে জায়গা সেটা তুলে ধরা। আমাদের শিক্ষকদের কথা যদি বলি, তারা মেয়ে বন্ধুদের যেভাবে ট্রিট করে আমাদের সেভাবে করে না। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে গেলে আমাদের বলে লাঞ্চের পর আসতে। কিন্তু কোনো মেয়ে গেলে তাকে বলে আমাদের সাথেই লাঞ্চ করো। এটাও ভালোবাসাবঞ্চিত একটা ব্যাপার। তাই ভালোবাসা ব্যাপারটি ছেলে-মেয়ে আলাদাভাবে না দেখে সমানভাবে বণ্টন করা হোক।

আরেক শিক্ষার্থী সারথি অনি বলেন, যেসব পুরুষরা প্রেমের নামে ধোঁকা দেয়, একসাথে ২-৩ জনের সাথে প্রেম করে তাদের আমরা সাবধান করে দিতে চাই। বাংলাদেশের আইনে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছোট বোনদের সুরক্ষা করতেই আমার এই পদে আসা।

প্রেম বঞ্চিত সংঘের সভাপতি শাহ্ পরান বলেন, প্রেম বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা প্রেম করবে বিষয়টা এরকম না। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের প্রেম হয়, শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর প্রেম হয়। কিন্তু আমাদের সমাজের সবক্ষেত্রে প্রেমের অসম বণ্টন দেখতে পাওয়া যায়। আপনার সন্তান, প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের থেকে কতটুকু ভালোবাসা পাবে তা নির্ভর করে আপনার কতটুকু অর্থ-সম্পদ আছে তার উপর। এর মাধ্যমে আপনার সন্তানও প্রেম থেকে বঞ্চিত।

বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।