শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও বাজারে অস্থিরতা কাটছেনা

  • আপডেট: ০৬:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৫

ছবি-নতুনেরকথা।

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে সরকার বিভিন্ন পণ্যের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। তবুও সিন্ডিকেটের কারণে বাজার অস্থিরতা বন্ধ করতে পারছেনা।

বাজারে স্বস্তি ফেরাতে চাল, পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার, টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান, কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। তবে এসব করণে কোথাও কোথাও উল্টো বেড়েছে পেঁয়াজ, চালও ভোজ্যতেলের দাম। এক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর এসব পণ্যের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু আমদানী নির্ভর নয়, বেড়েছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য গোল আলুর দাম। ৫৫ টাকার আলু বিক্রয় হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

চলতি বছরের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। এ অবস্থায় বাজারে পেঁয়াজের লাগাম টানতে সম্প্রতি শুল্কমুক্ত পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় সরকার। তবে এতেও কমেনি দাম। উল্টো পাইকারিতে কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা পর্যন্ত। যা খুচরা পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি শুল্ক কমালেও তার প্রভাব পড়ছে না বাজারে। অনেকে আবার এজন্য দুষছেন আমদানিকারকদের।

এদিকে দাম কমাতে অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য চালের ওপর দুই দফায় ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে শূন্য শতাংশ করা হয়। তাতেও মিলেনি সুফল। বরং শুল্ক কমানোর পর সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত। একই অবস্থা ভোজ্য তেলের বাজারেও। ব্যবসায়ীদের দাবি, তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করায় শুল্ক কমানোর প্রভাব নেই দেশের বাজারে।

তবে ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলছে চিনিতে। পরিশোধিত চিনির ওপর আমদানি শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর ফলে আমদানি বেড়েছে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম কেজি প্রতি ২থেকে ৩টাকা পর্যন্ত কমেছে দাবি ব্যবসায়ীদের।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও বাজারে অস্থিরতা কাটছেনা

আপডেট: ০৬:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে সরকার বিভিন্ন পণ্যের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। তবুও সিন্ডিকেটের কারণে বাজার অস্থিরতা বন্ধ করতে পারছেনা।

বাজারে স্বস্তি ফেরাতে চাল, পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার, টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান, কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। তবে এসব করণে কোথাও কোথাও উল্টো বেড়েছে পেঁয়াজ, চালও ভোজ্যতেলের দাম। এক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর এসব পণ্যের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু আমদানী নির্ভর নয়, বেড়েছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য গোল আলুর দাম। ৫৫ টাকার আলু বিক্রয় হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

চলতি বছরের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। এ অবস্থায় বাজারে পেঁয়াজের লাগাম টানতে সম্প্রতি শুল্কমুক্ত পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় সরকার। তবে এতেও কমেনি দাম। উল্টো পাইকারিতে কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা পর্যন্ত। যা খুচরা পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি শুল্ক কমালেও তার প্রভাব পড়ছে না বাজারে। অনেকে আবার এজন্য দুষছেন আমদানিকারকদের।

এদিকে দাম কমাতে অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য চালের ওপর দুই দফায় ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে শূন্য শতাংশ করা হয়। তাতেও মিলেনি সুফল। বরং শুল্ক কমানোর পর সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত। একই অবস্থা ভোজ্য তেলের বাজারেও। ব্যবসায়ীদের দাবি, তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করায় শুল্ক কমানোর প্রভাব নেই দেশের বাজারে।

তবে ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলছে চিনিতে। পরিশোধিত চিনির ওপর আমদানি শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর ফলে আমদানি বেড়েছে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম কেজি প্রতি ২থেকে ৩টাকা পর্যন্ত কমেছে দাবি ব্যবসায়ীদের।