প্রেম মানেনা কোন বাঁধা। বিষয়টি সত্য হলো পটুয়াখালির সুবর্না আকতারের জন্য।বাংলাদেশি তরুণী সুবর্ণা আক্তারের প্রেমের টানে পটুয়াখালীতে ছুটে এসেছেন শ্রীলঙ্কার যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা। সম্প্রতি তিনি পটুয়াখালীর দশমিনায় আসেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক ও ইসলাম ধর্মের রীতি অনুসারে পারিবারিক সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দশমিনা থানার ওসি মো. আবদুল আলীম। এর পূর্বে তুরস্কের এক যুবক প্রেমের টানে ছুটে এসেছিলো বাংলাদেশে। এর পূর্বে অনেক সংবাদ হয়েছে শুধু নারীরা প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসে। এবার গণে পুরোই উল্টেগেছে।
জানা যায়, পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা গত পাঁচ বছর আগে কাজের সন্ধানে জর্ডানে যান। সেখানে গিয়ে তিনি একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। একই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন দিলশান মাদুরাঙ্গা। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় তাদের, পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে। দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে। গত এক মাস আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন সুবর্ণা।
দেশে ফিরলেও দিলশান মাদুরাঙ্গার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। গত ৬ নভেম্বর সকালে দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম পটুয়াখালী আসেন। সেখানে সুবর্ণা তাকে রসিব করে। সেখানে উভয়ের সম্মতিতে ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ হয়। পরে একই দিনে সুবর্ণার গ্রামের বাড়ি বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়া ইসলামি শরিয়াহ মতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি।’
সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে।’
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমজনিত কারণে দশমিনায় এসেছেন। কিন্তু তার নাম-ঠিকানা কিছুই জানি না।’