হাজীগঞ্জের বাকিলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

কোন নেতা-কর্মী অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে বাকিলা মধ্য বাজারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পূর্বে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাকিলা বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভাস্থলে এসে শেষ হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর মানুষের বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে আমাদের লক্ষ-লক্ষ নেতাকর্মী ও সমর্থককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নেতাকর্মীদের শারিরিক-মানসিক নির্যাতন এবং ঘুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর ফল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী, অন্য কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা প্রতিপক্ষ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিস্পেষিত করা যাবে না। কোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে সাথে জড়িত থাকা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই, একটি নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যেখানে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম পাটওয়ারী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ নাফের শাহ্, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আকতার হোসেন দুলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মমিন বেপারী, যুগ্ম সম্পাদক মোবাশে^র মোল্লা, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইমাম হোসেন লিটন, পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্টু, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. ওমর ফারুক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন মুন্সী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মারুফ খান রাসেলসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বিল্লাল হোসেন বেলাল, পৌর আহবায়ক মজিবুর রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইমান হোসেন, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ আলম হীরা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবু ইউছুফ, সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগরসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বাধিক পঠিত

ফরিদগঞ্জে প্রতিবেশীর ৫টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে

হাজীগঞ্জের বাকিলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

কোন নেতা-কর্মী অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

আপডেট: ০৯:১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে বাকিলা মধ্য বাজারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পূর্বে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাকিলা বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভাস্থলে এসে শেষ হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর মানুষের বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে আমাদের লক্ষ-লক্ষ নেতাকর্মী ও সমর্থককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নেতাকর্মীদের শারিরিক-মানসিক নির্যাতন এবং ঘুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর ফল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী, অন্য কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা প্রতিপক্ষ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিস্পেষিত করা যাবে না। কোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে সাথে জড়িত থাকা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই, একটি নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যেখানে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম পাটওয়ারী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ নাফের শাহ্, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আকতার হোসেন দুলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মমিন বেপারী, যুগ্ম সম্পাদক মোবাশে^র মোল্লা, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইমাম হোসেন লিটন, পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্টু, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. ওমর ফারুক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন মুন্সী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মারুফ খান রাসেলসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বিল্লাল হোসেন বেলাল, পৌর আহবায়ক মজিবুর রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইমান হোসেন, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ আলম হীরা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবু ইউছুফ, সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগরসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।