‘আগামী বাংলাদেশ গড়বে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’

ড. রেজাউল করিম

‘আগামী বাংলাদেশ গড়বে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’- এমন মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্লবীর ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের অডিটোরিয়ামে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার কর্মীদের নিয়ে কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আগামী বাংলাদেশ গড়বে এই ছাত্রশিবির। দেশ, রাষ্ট্র সংস্কার হতে পারে এই কর্মী ভাইদের হাত ধরে।

কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা সভাপতি এইচএম সালাউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি হাফেজ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ছাত্রশিবিরের আমান উল্লাহ আমান। প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদিক আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে আমাদেরকে জুলুম-নির্যাতনের আগ্রাসন চালিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের বিশ্বাসকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের নীতি-নৈতিকতার চর্চার জায়গাগুলো বিগত দুঃশাসনে লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা যদি কুরআনের শিক্ষা থেকে দূরে চলে যাই তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। রাসুলের (সা.) সেই হাদিস মনে রাখতে হবে, যদি তোমরা দুইটি জিনিসকে আঁকড়ে ধরো- একটি হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের হাদিস, তবে তোমরা কোনো দিন পথভোলা হবে না। অর্থাৎ এর মাধ্যমে হেদায়েত এবং নসিহার পথ প্রদর্শিত হবে। কাজেই আমাদেরকে পথ দেখায় কুরআন, আমার পথ প্রদর্শক কুরআন।আমাদের দায়িত্ব হলো- কুরআন অধ্যায়ন করা, কুরআন তিলাওয়াত করা। যাদের কুরআন তিলাওয়াতে সমস্যা আছে এই সমস্যা সমাধান করা।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ২০০৯ সালে চোখের সামনে পিলখানায় এদেশের সূর্য সন্তানদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আমরা দেখেছি শাপলা চত্বরে নিরীহ ছাত্রদেরকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যদি দক্ষ এবং যোগ্য হয়ে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারি তাহলে এই পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যা, ব্যাংক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, কালচারাল ধ্বংস করে দেওয়া হবে এবং আমরা এর সমাধান খুঁজে পাব না। আজকের যারা কর্মীরা তারাই সেই ভূমিকা রাখবে, সেই আহ্বান রইল আপনাদের প্রতি।

সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

‘আগামী বাংলাদেশ গড়বে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’

আপডেট: ০৮:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

‘আগামী বাংলাদেশ গড়বে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’- এমন মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্লবীর ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের অডিটোরিয়ামে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার কর্মীদের নিয়ে কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আগামী বাংলাদেশ গড়বে এই ছাত্রশিবির। দেশ, রাষ্ট্র সংস্কার হতে পারে এই কর্মী ভাইদের হাত ধরে।

কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা সভাপতি এইচএম সালাউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি হাফেজ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ছাত্রশিবিরের আমান উল্লাহ আমান। প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদিক আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যেভাবে আমাদেরকে জুলুম-নির্যাতনের আগ্রাসন চালিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের বিশ্বাসকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাদের নীতি-নৈতিকতার চর্চার জায়গাগুলো বিগত দুঃশাসনে লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা যদি কুরআনের শিক্ষা থেকে দূরে চলে যাই তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। রাসুলের (সা.) সেই হাদিস মনে রাখতে হবে, যদি তোমরা দুইটি জিনিসকে আঁকড়ে ধরো- একটি হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের হাদিস, তবে তোমরা কোনো দিন পথভোলা হবে না। অর্থাৎ এর মাধ্যমে হেদায়েত এবং নসিহার পথ প্রদর্শিত হবে। কাজেই আমাদেরকে পথ দেখায় কুরআন, আমার পথ প্রদর্শক কুরআন।আমাদের দায়িত্ব হলো- কুরআন অধ্যায়ন করা, কুরআন তিলাওয়াত করা। যাদের কুরআন তিলাওয়াতে সমস্যা আছে এই সমস্যা সমাধান করা।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ২০০৯ সালে চোখের সামনে পিলখানায় এদেশের সূর্য সন্তানদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আমরা দেখেছি শাপলা চত্বরে নিরীহ ছাত্রদেরকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যদি দক্ষ এবং যোগ্য হয়ে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারি তাহলে এই পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যা, ব্যাংক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, কালচারাল ধ্বংস করে দেওয়া হবে এবং আমরা এর সমাধান খুঁজে পাব না। আজকের যারা কর্মীরা তারাই সেই ভূমিকা রাখবে, সেই আহ্বান রইল আপনাদের প্রতি।