জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে সরকার : রিজভী

  • আপডেট: ০৭:৩৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ৭০

অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার দেশের সাধারণ জনগণকে পদে পদে মৃত্যুর ফাঁদে ঠেলে দিয়েছে। জনগণ আজ বন্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, ভেজাল খাদ্য, বিনা কারণে গণপিটুনি, আগুনে পুড়ে, প্রকাশ্যে জবাই, ধর্ষণের পর হত্যা এবং ক্রসফায়ারে গুলি খেয়ে মৃত্যুসহ নানা মৃত্যুফাঁদে নিপতিত।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

রিজভী বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়ে বর্তমান সরকার দেশে বর্বর বন্য শাসন জারি রেখেছে।

তিনি বলেন, একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারসহ ন্যূনতম নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার।

‘মনে হচ্ছে, আমরা এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার স্বেচ্ছাচারী জনপদে বসবাস করছি। যেখানে কারো কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নেই, গুম কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা নিত্যদিনের ঘটনা।’

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, অথচ সরকার প্রধান দেশের বাইরে। মানুষ বলছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্ত্রীসহ দেশের বাইরে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ ক্রয়ের নামে সরকারের মন্ত্রী ও মেয়ররা জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর তামাশা শুরু করেছেন। তামাশা বন্ধ করুন, জনগণকে নিয়ে পরিহাস বন্ধ করুন। রিজভী বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার ভয়াবহ অসুস্থতার পরও এই মিডনাইটের সরকার অমানুষের মতো আচরণ করছে। তার পছন্দমত চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়া হচ্ছে না।

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আইনের গতিতেই তার স্বাভাবিক জামিন পাওয়ার কথা, কিন্তু সরকার তার জামিনে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বিচার বিভাগও সরকারের হুকুম তামিলে ব্যস্ত। এহেন কোনো কাজ নেই যে এই সরকার তার মামলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে না।

খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে সরকার : রিজভী

আপডেট: ০৭:৩৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার দেশের সাধারণ জনগণকে পদে পদে মৃত্যুর ফাঁদে ঠেলে দিয়েছে। জনগণ আজ বন্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, ভেজাল খাদ্য, বিনা কারণে গণপিটুনি, আগুনে পুড়ে, প্রকাশ্যে জবাই, ধর্ষণের পর হত্যা এবং ক্রসফায়ারে গুলি খেয়ে মৃত্যুসহ নানা মৃত্যুফাঁদে নিপতিত।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

রিজভী বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়ে বর্তমান সরকার দেশে বর্বর বন্য শাসন জারি রেখেছে।

তিনি বলেন, একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারসহ ন্যূনতম নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার।

‘মনে হচ্ছে, আমরা এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার স্বেচ্ছাচারী জনপদে বসবাস করছি। যেখানে কারো কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নেই, গুম কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা নিত্যদিনের ঘটনা।’

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, অথচ সরকার প্রধান দেশের বাইরে। মানুষ বলছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্ত্রীসহ দেশের বাইরে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ ক্রয়ের নামে সরকারের মন্ত্রী ও মেয়ররা জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর তামাশা শুরু করেছেন। তামাশা বন্ধ করুন, জনগণকে নিয়ে পরিহাস বন্ধ করুন। রিজভী বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার ভয়াবহ অসুস্থতার পরও এই মিডনাইটের সরকার অমানুষের মতো আচরণ করছে। তার পছন্দমত চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়া হচ্ছে না।

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আইনের গতিতেই তার স্বাভাবিক জামিন পাওয়ার কথা, কিন্তু সরকার তার জামিনে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বিচার বিভাগও সরকারের হুকুম তামিলে ব্যস্ত। এহেন কোনো কাজ নেই যে এই সরকার তার মামলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে না।

খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।