চাঁদপুর জেলায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক -২০২৪ এ শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন নূরুল আমিন। তিনি কচুয়া উপজেলার ৯১নং রহিমানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এর আগে, তিনি কচুয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক ৩বার ও চাঁদপুর জেলা পর্যায়ে দুই বার নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক -২০২৪ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন যাচাই-বাছাই হলেও বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের যাচাই-বাছাইয়ে কচুয়া উপজেলার ৯১নং রহিমানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরুল আমিন জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় ও উপজেলা পর্যায়ে তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হন।
নূরুল আমিন কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ির আব্দুর রব মিয়ার সন্তান।
তিনি সর্ব প্রথম কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বুধুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে প্রথম যোগদান করেন ২০০৩ সালে। ১৯৯৫ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৭ সালে এইচএসসিতে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এছাড়া ঢাকা কলেজ থেকে তিনি এমকম মাস্টার্স শেষ করেন।
জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় ৯১ রহিমানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মহাসিন জানান, নুরুল আমিন আমাদের স্কুলের গর্বিত শিক্ষক। আমরা তার জন্য গর্বিত। তার সাফল্যে স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা হয়ে আমাদের আরো একটি আনন্দের সংবাদ এনে দেবেন নুরুল আমিন। তার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা জানান,এ যাবৎ কালে নূরুল আমিন স্যার সেরা শিক্ষক রহিমানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তথা কচুয়া প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের। ধারাবাহিকভাবে পরপর তিন বার তিনি উপজেলায় ও জেলায় দুইবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। যে বিদ্যালয়েই যান, হয়ে ওঠেন সেই বিদ্যালয়ের আলোক বর্তিকা। পাঠদান থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যান। একটি বিদ্যালয়কে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছানোর সমস্ত গুণাবলি তাঁর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার মতো যা যা দরকার তার চেয়ে অনেক বেশি নিয়ামক তাঁর মধ্যে রয়েছে এবং সেগুলো তাঁর স্বোপার্জিত। ছাত্র জীবনে ও তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস ছিলেন। তিনি মনে করেন একজন শিক্ষক যদি আন্তরিক, সৃজনশীল সংস্কারমুক্ত, প্রগতিশীল, উদ্যোগী ও কর্মঠ হন তবে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি আজকের শিশু পরিচর্যায় বিকশিত হয়ে আগামী দিনের সুখী, সচ্চল ও সুনাগরিক হয়ে উন্নতর সেবা প্রদান বা উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
নূরুল আমিন তাঁর এ অর্জনের পেছনে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের স্পিকট কৃতজ্ঞঙ্গতা প্রকাশ করেন এবং পরবর্তী ধাপ গুলোতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সকলের দোয়া কামনা করেন।