হাজীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র গণসমাবেশ

সুখি-সমৃদ্ধ ও বৈষম্য বিরোধী দেশ গঠনে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই : আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম

ছবি-নতুনেরকথা।

হাজীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন, উপজেলা শাখার আয়োজনে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ বিশ্বরোডে (চৌরাস্তা) অনুষ্ঠিত সমাবশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও নির্বাচনে তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল এম.এ মতিন মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ভাষা স্বাধীন হয় নাই। রক্ত দিয়ে সেই স্বাধীনতা পেয়েছি। এরপর ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বৈষম্য, নিপিড়ন ও নির্যাতন। আবারও রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে সেই স্বাধীনতাও অর্জন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এরপর স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। বাংলার মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা পায়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সেই দল নিজেদের দল ও মতের বিরোধী লোকজনকে স্বৈরাচারীভাবে দমন ও নির্যাতন করেছে। আর তারা এবং তাদের সহযোগীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে। অবশেষে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য গত ৫ আগস্ট একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু না। আমরা দেখলাম গত ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করেছে। অথচ যে অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। সেই অধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। তাই, এই অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ইসলামী আন্দোলনের বিকল্প নেই। কারণ ইসলামী আন্দোলন, ব্যক্তি কেন্দ্রিক নয়, সবার জন্য। এখানে ইসলাম ক্ষমতায় যাবে, ব্যক্তি বা দল নয়। আর ইসলাম ক্ষমতায় গেলে, সবার অধিকার নিশ্চিত হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম, দেশ ও মানবতা নিয়ে কাজ করে উল্লেখ করে আলহাজ¦ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যা লঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। দেশের নাগরিক হিসেবে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক সকলের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যার প্রমাণ আপনারা ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে এবং অতিতেও পেয়েছেন।

তিনি বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই ও দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ আগস্ট থেকে আমরা হিন্দু ধর্মালম্বীসহ বিধর্মীদের উপাসনালয়, সরকারি স্থাপনা, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা পাহারা দিয়েছি, ট্রাফিক-পুলিশের কাজ করেছি। আমরা কেনো অন্যায় কাজের সাথে নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবো না। আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতা নিয়ে কাজ করি এবং করবো।

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির বিস্তারিত উল্লেখ করে আলহাজ¦ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সরকার গঠন হোক। কারণ, সুখি-সমৃদ্ধ ও বৈষম্য বিরোধী দেশ গঠন বর্তমানে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা সহ-সভাপতি গাজী মুহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক কেএম ইয়াসিন রাশেদ সানী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজামাল গাজী সোহাগ, উপজেলা উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন মিয়াজী, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপজেলা সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শাহাদাত হোসেন।

 

ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারী হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানীয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্বারী আবুল হাশেম, মাও. শারাফত উল্যাহ্, মাও. মাহবুব আলম, মাও. হাবিবুর রহমান, মাও. শাহাদাত হোসেন, আলী আহমদ পাটোওয়ারী, মাসুম বিল্লাহ্, তানজিল হোসেন, শাহেদুল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।

ইসলামী যুব আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকীর উপস্থাপনায়সমাবেশে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আকতার হোসেন নিপু, যুব আন্দোলনের উপজেলা নেতা আলামিন লিয়ন, ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাওলানা ইমরান হোসাইন মাজহারীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এসময় ইসলামী আন্দোলনের কার্যকরি সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল গাজী, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপজেলা সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা আক্তার হোসেন আকন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সাধারণ মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ, উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইসলামী আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ও দ্বীনি সংগঠন মুজাহিদ কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

হাজীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র গণসমাবেশ

সুখি-সমৃদ্ধ ও বৈষম্য বিরোধী দেশ গঠনে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই : আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম

আপডেট: ০৯:২৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাজীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন, উপজেলা শাখার আয়োজনে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ বিশ্বরোডে (চৌরাস্তা) অনুষ্ঠিত সমাবশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও নির্বাচনে তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল এম.এ মতিন মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ভাষা স্বাধীন হয় নাই। রক্ত দিয়ে সেই স্বাধীনতা পেয়েছি। এরপর ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বৈষম্য, নিপিড়ন ও নির্যাতন। আবারও রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে সেই স্বাধীনতাও অর্জন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এরপর স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। বাংলার মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা পায়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সেই দল নিজেদের দল ও মতের বিরোধী লোকজনকে স্বৈরাচারীভাবে দমন ও নির্যাতন করেছে। আর তারা এবং তাদের সহযোগীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে। অবশেষে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য গত ৫ আগস্ট একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু না। আমরা দেখলাম গত ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করেছে। অথচ যে অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। সেই অধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। তাই, এই অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ইসলামী আন্দোলনের বিকল্প নেই। কারণ ইসলামী আন্দোলন, ব্যক্তি কেন্দ্রিক নয়, সবার জন্য। এখানে ইসলাম ক্ষমতায় যাবে, ব্যক্তি বা দল নয়। আর ইসলাম ক্ষমতায় গেলে, সবার অধিকার নিশ্চিত হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম, দেশ ও মানবতা নিয়ে কাজ করে উল্লেখ করে আলহাজ¦ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যা লঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। দেশের নাগরিক হিসেবে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক সকলের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যার প্রমাণ আপনারা ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে এবং অতিতেও পেয়েছেন।

তিনি বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই ও দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ আগস্ট থেকে আমরা হিন্দু ধর্মালম্বীসহ বিধর্মীদের উপাসনালয়, সরকারি স্থাপনা, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা পাহারা দিয়েছি, ট্রাফিক-পুলিশের কাজ করেছি। আমরা কেনো অন্যায় কাজের সাথে নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবো না। আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতা নিয়ে কাজ করি এবং করবো।

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির বিস্তারিত উল্লেখ করে আলহাজ¦ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সরকার গঠন হোক। কারণ, সুখি-সমৃদ্ধ ও বৈষম্য বিরোধী দেশ গঠন বর্তমানে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা সহ-সভাপতি গাজী মুহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক কেএম ইয়াসিন রাশেদ সানী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজামাল গাজী সোহাগ, উপজেলা উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন মিয়াজী, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপজেলা সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শাহাদাত হোসেন।

 

ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারী হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানীয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্বারী আবুল হাশেম, মাও. শারাফত উল্যাহ্, মাও. মাহবুব আলম, মাও. হাবিবুর রহমান, মাও. শাহাদাত হোসেন, আলী আহমদ পাটোওয়ারী, মাসুম বিল্লাহ্, তানজিল হোসেন, শাহেদুল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।

ইসলামী যুব আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকীর উপস্থাপনায়সমাবেশে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আকতার হোসেন নিপু, যুব আন্দোলনের উপজেলা নেতা আলামিন লিয়ন, ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাওলানা ইমরান হোসাইন মাজহারীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এসময় ইসলামী আন্দোলনের কার্যকরি সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল গাজী, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপজেলা সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা আক্তার হোসেন আকন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সাধারণ মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ, উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইসলামী আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ও দ্বীনি সংগঠন মুজাহিদ কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।