মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের খাল থেকে খবির উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আবদুর রহমান ও তৈৗহিদুল ইসলাম সৈকত, তারা পিতা-পুত্র। বুধবার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে নিহত খবির উদ্দিনের মরদেহ দাফন করা হয়।
জানা যায়, নিহত খবির উদ্দিন উপজেলার মান্দারতলী গ্রামের মৃত গোলাম মোর্তোজা প্রধানের ছোট ছেলে। তার স্ত্রী মাসুদা আক্তার ও দুই মেয়ে মুনিয়া আক্তার (১১) ও তোহা আক্তার (৩) সন্তান রয়েছে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
এ ঘটনায় স্ত্রী মাসুদা আক্তার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় বায়েজিদ সরকারকে প্রধান আসামী করে ২৩জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো অজ্ঞাত ৫-৭জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত খবির উদ্দিনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার জানান, আমার স্বামী মো. খবির উদ্দিন প্রধান অটোরিক্সা চালিয়ে এবং কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জমিতে ধানের চারা রোপন করতে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরলে আমরা বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করি। পরে লোক মুখে শুনতে পাই কারা যেনো তাকে মেরে খালের পানিতে ফেলে রেখে চলে গেছে।
নিহত খবির উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. পাভেল জানান, গত দুই বছর আগে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্ল্যাহ লাভলু কাকাকে মেরে ফেলেছে। তার বিচার আজও পাইনি। আজকে আবার আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। এখন আমরা প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকা-ের বিচার চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রতন মিয়া জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সানোয়ার হোসেন জানান, মান্দারতলী গ্রামের বেপারী বাড়ির পাশের খালের পানিতে যুবকের মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী।
পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।