তৃণমুল থেকে উঠে আসা একজন সফল স্বচ্ছ রাজনীতিবীদ লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক

ছবি-নতুনেরকথা।

তৃণমুল থেকে উঠে আসা একজন সফল রাজনীতিবীদ ও সফল ব্যবসায়ী লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কাছে এক বিশ্বস্ত নাম মমিন ভাই।

সম্প্রতি সময়ে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে দল মত নির্বিশেষে সকলের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার প্রতীক ইঞ্জিনিয়ার মমিনূল হক। মূলত তাঁর কঠিন নেতৃত্বের কারনে দেশের ক্লান্তিলগ্নে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে কোন অনাকিঙ্খত ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন যা ঘটেছে তা শুনা মাত্র নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। রাজনীতি ও ব্যবসায়ীকভাবে তার দূরদর্শীতার কারণে হাজীগঞ্জ বাজার রক্ষা পেয়েছে বড় ধরনের লুটপাট থেকে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সাথে সাথে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দু’জনকে দল থেকে বহিস্কার করতে দ্বিধা করেননি। পাশা-পাশি কয়েকজনকে তিনি মৌখিকভাবে সাবধানও করেছেন।

ইঞ্জি. মমিনূল হক হাজীগঞ্জের ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সন্তান। বিএনপির রাজনীতিতে অনেক শ্রম ও ঘাম রয়েছে তার। তিনি জেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের সাবেক সফল সভাপতি। কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক। এ ছাড়া তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ডেভলপার কোম্পানী মার্ক বিল্ডার্স ও মার্ক ফুডের স্বত্ত্বাধীকারী।

বিংশ দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাত ধরে রাজীতিতে হাতে খড়ি ইঞ্জিনিয়ার মমিনূল হক। মূলত তিনি তার অনেক আগ থেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। রাজনীতির শুরুতে নিজ দলের কাছে বৈষম্যের শিকার হতে শুরু করেন। তারপরে ও হাল ছাড়েননি। সাবেক এমপি মরহুম এম এ মতিন থাকতেই হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির বিএনপির রাজনীতিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। ভোটের মাধ্যমে পদ পেয়ে যান জেলা বিএনপির সভাপতি পদ। সফলতা ও পেয়ে যান। তিনি পদে থাকতেই বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চাঁদপুর ষ্টেডিয়ামে সফল জনসভার সভাপতিত্ব করেন।

২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুরে আন্দোলন সংগ্রামের এক অপর নাম ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। তার নির্দেশক্রমেই চাঁদপুর হয়ে উঠে আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ।

রাজনীতির কারনে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে নিজের সম্পত্তিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করে দলীয কার্যক্রম পরিচালনার কারনে অফিসটিকে কয়েক বার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। মূলত তিনি একেবারে সাচ্ছা রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। চাঁদপুর-৫ নির্বাচন এলাকা থেকে পর পর তিনবার ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় মেকানিজমের কারণে প্রতিবার বিজিত হন। তিনি ২০০১ সাল থেকে রাজনীতিতে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। পরবর্তীতে মনোনয়ন না পেলেও হাল ছাড়েননি এ দক্ষ ব্যবসায়ী। হামালা মামলার শিকার হয়ে টিকে থাকেন রাজনীতিতে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে দেশে জরুরী অবস্থা পরবর্তী সময়ে নেতা-কর্মীরা যখন দিশে হারা ছিলো, বিএনপির হাল ধরার মতো যখন কেউ ছিলোনা, সেই দূঃস সময়ে তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ান।

অবশেষে ২০০৮ সালে কাঙ্খিত সেই সফলতা তার হাতে ধরা দেয়। কিন্তু ধানের শীষের নমিনেশান পেলেও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের কাছে বারে বারে হের যান তিনি। তবুও পিছপা হননি। নেতা-কর্মীদের হামলা মামলায় কোটি কোটি টাকা রাজনীতির পেছনে খরচ করতে থাকেন। রাজনীতির কারণে তিনি ও তার একমাত্র ছেলে মোস্তফা কামাল নাশকার মামলার আসামীও হয়েছেন। জেল জুলুম অত্যচার নির্যাতন তবুও ছেড়ে যান হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির নেতা-কর্মীদের।

হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে দক্ষ কর্মী ও নেতৃত্ব তৈরিসহ জনগনের পাশে রয়েছেন বন্ধুর মতো আচরণ দিয়ে। তিনি প্রতিহিসাংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় এমন প্রমাণ করে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে বড় ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

৫ আগস্ট মূলত সেদিন তিনি নিজ বাড়ি হাজীগঞ্জের সোনাইমুড়িতে অবস্থান করছিলেন। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতা যখন রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল শুরু করে তখন কারো বাড়ি ঘরে, কোন ব্যক্তির উপর যেন হাত না পড়ে সে থেকেই তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন পৌর ওয়ার্ডের শীর্ষনেতা ফোন করে সতর্ক শুরু করেন। এর পরে তিনি নিজেই নেমে পড়েন সভা মিটিংয়ে। উদ্দেশ্য একটাই গুটি কয়েক উশৃঙ্খল নেতাকর্মীকে দস্যুপনার জন্য যেনো দলের বদনমা ছড়িংেয় না পড়ে। দলীয় শৃঙ্খলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তিনি ইতিমধ্যে দলীয় দুইজনকে বহিস্কার করতে কুন্ঠাবোধ করেননি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভা সমাবেশগুলো তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেন। যে কোন মূল্যে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে হবে। যারা প্রতিহিংসা করেছে, তারা করছে, আমরা প্রতিহিংসায় যাবো না, নিজেদের ক্ষতি মেনে নিতে হবে, অন্যের ক্ষতি করা যাবে না।

হিন্দুরা ও আমাদের ভাই, তাঁদের ভালো রাখার দায়িত্ব আপনার-আমার সবার।

টোরাগড়ের হত্যা মামলায় ৫’শ জনের মতো লোকজনকে আসামী করার প্রক্রিয় ছিলেন নিহতের পরিবার। পরে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক নিহতের পরিবারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, শুধু যারা ঘটনা ঘটেছে তারাই আসামী হবে এর বাইরে কাউকে আসামী করা যাবে না। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় একই নির্দেশনা মেনে মামলা হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার মমিনূল হকের কঠোর নির্দেশনার কারনে এই দুইটি মামলা ছাড়া হাজীগঞ্জে অন্য কোন মামলা দায়ের হতে পারেনি এমন কি শাহরাস্তিতে কোন মামলা দায়ের হয়নি। টোরাগড়ে আমাদের যারা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে আড়াই লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দেয়া হয়েছে। আপনাদেরকে সামনে রেখে তৃতীয় কোন পক্ষ যেন কোন ধরনের খেলা খেলতে না পারে, সেদিকে চোখ কান খোলা রাখবেন। আমরা চাই অন্ত:বর্তীকালীন সরকারে মাধ্যমে সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা।

 

সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

তৃণমুল থেকে উঠে আসা একজন সফল স্বচ্ছ রাজনীতিবীদ লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক

আপডেট: ০৯:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

তৃণমুল থেকে উঠে আসা একজন সফল রাজনীতিবীদ ও সফল ব্যবসায়ী লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কাছে এক বিশ্বস্ত নাম মমিন ভাই।

সম্প্রতি সময়ে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে দল মত নির্বিশেষে সকলের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার প্রতীক ইঞ্জিনিয়ার মমিনূল হক। মূলত তাঁর কঠিন নেতৃত্বের কারনে দেশের ক্লান্তিলগ্নে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে কোন অনাকিঙ্খত ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন যা ঘটেছে তা শুনা মাত্র নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। রাজনীতি ও ব্যবসায়ীকভাবে তার দূরদর্শীতার কারণে হাজীগঞ্জ বাজার রক্ষা পেয়েছে বড় ধরনের লুটপাট থেকে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সাথে সাথে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দু’জনকে দল থেকে বহিস্কার করতে দ্বিধা করেননি। পাশা-পাশি কয়েকজনকে তিনি মৌখিকভাবে সাবধানও করেছেন।

ইঞ্জি. মমিনূল হক হাজীগঞ্জের ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সন্তান। বিএনপির রাজনীতিতে অনেক শ্রম ও ঘাম রয়েছে তার। তিনি জেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের সাবেক সফল সভাপতি। কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক। এ ছাড়া তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ডেভলপার কোম্পানী মার্ক বিল্ডার্স ও মার্ক ফুডের স্বত্ত্বাধীকারী।

বিংশ দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাত ধরে রাজীতিতে হাতে খড়ি ইঞ্জিনিয়ার মমিনূল হক। মূলত তিনি তার অনেক আগ থেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। রাজনীতির শুরুতে নিজ দলের কাছে বৈষম্যের শিকার হতে শুরু করেন। তারপরে ও হাল ছাড়েননি। সাবেক এমপি মরহুম এম এ মতিন থাকতেই হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির বিএনপির রাজনীতিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। ভোটের মাধ্যমে পদ পেয়ে যান জেলা বিএনপির সভাপতি পদ। সফলতা ও পেয়ে যান। তিনি পদে থাকতেই বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চাঁদপুর ষ্টেডিয়ামে সফল জনসভার সভাপতিত্ব করেন।

২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুরে আন্দোলন সংগ্রামের এক অপর নাম ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। তার নির্দেশক্রমেই চাঁদপুর হয়ে উঠে আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ।

রাজনীতির কারনে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে নিজের সম্পত্তিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করে দলীয কার্যক্রম পরিচালনার কারনে অফিসটিকে কয়েক বার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। মূলত তিনি একেবারে সাচ্ছা রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। চাঁদপুর-৫ নির্বাচন এলাকা থেকে পর পর তিনবার ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় মেকানিজমের কারণে প্রতিবার বিজিত হন। তিনি ২০০১ সাল থেকে রাজনীতিতে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। পরবর্তীতে মনোনয়ন না পেলেও হাল ছাড়েননি এ দক্ষ ব্যবসায়ী। হামালা মামলার শিকার হয়ে টিকে থাকেন রাজনীতিতে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে দেশে জরুরী অবস্থা পরবর্তী সময়ে নেতা-কর্মীরা যখন দিশে হারা ছিলো, বিএনপির হাল ধরার মতো যখন কেউ ছিলোনা, সেই দূঃস সময়ে তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ান।

অবশেষে ২০০৮ সালে কাঙ্খিত সেই সফলতা তার হাতে ধরা দেয়। কিন্তু ধানের শীষের নমিনেশান পেলেও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের কাছে বারে বারে হের যান তিনি। তবুও পিছপা হননি। নেতা-কর্মীদের হামলা মামলায় কোটি কোটি টাকা রাজনীতির পেছনে খরচ করতে থাকেন। রাজনীতির কারণে তিনি ও তার একমাত্র ছেলে মোস্তফা কামাল নাশকার মামলার আসামীও হয়েছেন। জেল জুলুম অত্যচার নির্যাতন তবুও ছেড়ে যান হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির নেতা-কর্মীদের।

হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে দক্ষ কর্মী ও নেতৃত্ব তৈরিসহ জনগনের পাশে রয়েছেন বন্ধুর মতো আচরণ দিয়ে। তিনি প্রতিহিসাংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় এমন প্রমাণ করে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে বড় ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

৫ আগস্ট মূলত সেদিন তিনি নিজ বাড়ি হাজীগঞ্জের সোনাইমুড়িতে অবস্থান করছিলেন। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতা যখন রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল শুরু করে তখন কারো বাড়ি ঘরে, কোন ব্যক্তির উপর যেন হাত না পড়ে সে থেকেই তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন পৌর ওয়ার্ডের শীর্ষনেতা ফোন করে সতর্ক শুরু করেন। এর পরে তিনি নিজেই নেমে পড়েন সভা মিটিংয়ে। উদ্দেশ্য একটাই গুটি কয়েক উশৃঙ্খল নেতাকর্মীকে দস্যুপনার জন্য যেনো দলের বদনমা ছড়িংেয় না পড়ে। দলীয় শৃঙ্খলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তিনি ইতিমধ্যে দলীয় দুইজনকে বহিস্কার করতে কুন্ঠাবোধ করেননি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভা সমাবেশগুলো তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেন। যে কোন মূল্যে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে হবে। যারা প্রতিহিংসা করেছে, তারা করছে, আমরা প্রতিহিংসায় যাবো না, নিজেদের ক্ষতি মেনে নিতে হবে, অন্যের ক্ষতি করা যাবে না।

হিন্দুরা ও আমাদের ভাই, তাঁদের ভালো রাখার দায়িত্ব আপনার-আমার সবার।

টোরাগড়ের হত্যা মামলায় ৫’শ জনের মতো লোকজনকে আসামী করার প্রক্রিয় ছিলেন নিহতের পরিবার। পরে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক নিহতের পরিবারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, শুধু যারা ঘটনা ঘটেছে তারাই আসামী হবে এর বাইরে কাউকে আসামী করা যাবে না। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় একই নির্দেশনা মেনে মামলা হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার মমিনূল হকের কঠোর নির্দেশনার কারনে এই দুইটি মামলা ছাড়া হাজীগঞ্জে অন্য কোন মামলা দায়ের হতে পারেনি এমন কি শাহরাস্তিতে কোন মামলা দায়ের হয়নি। টোরাগড়ে আমাদের যারা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে আড়াই লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দেয়া হয়েছে। আপনাদেরকে সামনে রেখে তৃতীয় কোন পক্ষ যেন কোন ধরনের খেলা খেলতে না পারে, সেদিকে চোখ কান খোলা রাখবেন। আমরা চাই অন্ত:বর্তীকালীন সরকারে মাধ্যমে সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা।