গত একসপ্তাহ টানা বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুরের বহু ঘের ও পুকুর প্লাবিত হয়ে মাছ নেমেছে পদ্মা-মেঘনায়। আর এসব মাছ নদী থেকে উৎসবের মত ধরছে জেলেসহ সাধারণ মানুষ। গত দুদিন ধরে জাল ও ফাঁদ দিয়ে চলছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার এই উৎসব। ধরা পড়া মাছ কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশের আড়তসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এবং বাজারে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার পুরাণ বাজার রনাগোয়াল, হরিসভা, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও চান্দ্রা বাজার মেঘনা সংলগ্ন জেলে পল্লীগুলোতে দেখাগেছে ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার উৎসবে শত শত জেলে নৌকা।
জেলার ডাকাতিয়া নদী সংযুক্ত সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার বহু সংখ্যক মাছের ঘের, পুকুর ও জলাশয়ের মাছ উজান থেকে নেমে আসা বানের পানির স্রোতে গিয়ে মিলছে পদ্মা-মেঘনায়। এসব মাছ নেমে যাওয়ার গতিপথে নদী ও খালের বিভিন্ন স্থানে লোকজন মাছ শিকার করছে। আবার এসব মাছ পাড়েই তাৎক্ষনিক বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের পাড়া মহল্লা ও মেঘনা উপকূলীয় আড়ৎ হরিণা এবং রনাগোয়াল ঘাটে দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি করতে দেখাগেছে। আর এসব মাছ অন্য সময়ে ২৫০ থেকে ৩০০টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০টাকা। যে কারণে একজন ক্রেতা এক কেজি কেনার জন্য আসলেও বেশী করে ক্রয় করছেন।
হরিণা ফেরিঘাট মাছের আড়তের ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, নদীতে ইলিশ কম। তবে বানের পানিতে আসা দেশীয় প্রজাতির মাছে এখন ইলিশের আড়ৎ চাঙ্গা। দাম কম হওয়ায় একেক ক্রেতা ৫ থেকে ১০ কেজি করে মাছ ক্রয় করছেন। তবে পানি কমলে এই মাছ আরও বেশী ধরা পড়বে বলে তার ধারণা।
এদিকে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে জোয়ারের সময় পদ্মা-মেঘনায় পানির লেভেল ছিল ৩.২ মিলিমিটার। ভাটায় আরও কমে যাবে। বিপৎসীমার অনেক নিচে আছে পদ্মা-মেঘনার পানি।