বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে

কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ হাজীগঞ্জের আইনজীবীর মৃ ত্যু

  • আপডেট: ১০:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫০

ছবি-নতুনেরকথা।

সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসযোগ আন্দোলনকে ঘিরে গত ৫ আগস্ট কুমিল্লার মোগলটুলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ আইনজীবী মো. আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবুল কালাম আজাদ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের বড় বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মদ ডিলারের ছেলে। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি কুমিল্লা নগরীর রানীর দিঘীর দক্ষিণ পাড় এলাকায় বসবাস করতেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি সহিংসতার ঘটনাও ঘটে। সেদিন বিকেলে কুমিল্লার আদালতে হামলার খবর পেয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমুল হক ও আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী সেখানে যান।

এরপর মাগরিবের নামাজের জন্য নগরীর মোগলটুলী এলাকায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষন করে। এতে আবুল কালাম আজাদ গুলিবিদ্ধ হন। এরপর প্রথমে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগস্ট বিকালে মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নিহত আবুল কালাম আজাদের নিজ বাড়ির আত্মীয়-স্বজন ও হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে

কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ হাজীগঞ্জের আইনজীবীর মৃ ত্যু

আপডেট: ১০:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসযোগ আন্দোলনকে ঘিরে গত ৫ আগস্ট কুমিল্লার মোগলটুলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ আইনজীবী মো. আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবুল কালাম আজাদ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের বড় বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মদ ডিলারের ছেলে। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি কুমিল্লা নগরীর রানীর দিঘীর দক্ষিণ পাড় এলাকায় বসবাস করতেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি সহিংসতার ঘটনাও ঘটে। সেদিন বিকেলে কুমিল্লার আদালতে হামলার খবর পেয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমুল হক ও আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী সেখানে যান।

এরপর মাগরিবের নামাজের জন্য নগরীর মোগলটুলী এলাকায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষন করে। এতে আবুল কালাম আজাদ গুলিবিদ্ধ হন। এরপর প্রথমে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগস্ট বিকালে মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নিহত আবুল কালাম আজাদের নিজ বাড়ির আত্মীয়-স্বজন ও হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন।