ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৫:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯
  • ৬০

শনিবার গণভবনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ইফতারে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নতুনেরকথা

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাবে। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আমার কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ। সেই কথা চিন্তা করেই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যার সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক নেতাদের সৌজন্যে আয়োজিত এই ইফতারে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ নির্বাচনী সংলাপ করা ৭৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইফতার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাজনীতিবিদরা বিকাল ৩টা থেকে গণভবনে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গণভবন প্রাঙ্গণে তৈরি ২টি বিশাল প্যান্ডেল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে।

এ সময় সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত ও হামদ-নাত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ইফতার অনুষ্ঠানে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সবার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সহযোগিতা চাই। যেন আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে পারি। দেশবাসী নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ভালোভাবে কাজ করছে। অনেক কষ্ট করে তারা দেশের মানুষের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশ গড়তে কাজ করছি। এখন ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মানুষের জীবন উন্নত হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না।

তার সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি, তখন বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। আগামী জুনে যে বাজেট দিতে যাচ্ছি, ৫ লক্ষ কোটি টাকার ওপরে আমাদের বাজেট হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সভামঞ্চে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মিসবাহুর রহমান প্রমুখ।

এ ছাড়াও ইফতারে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বাংলাদেশ জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, শহীদুল্লাহ সিকদার, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাবে। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আমার কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ। সেই কথা চিন্তা করেই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যার সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক নেতাদের সৌজন্যে আয়োজিত এই ইফতারে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ নির্বাচনী সংলাপ করা ৭৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইফতার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাজনীতিবিদরা বিকাল ৩টা থেকে গণভবনে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গণভবন প্রাঙ্গণে তৈরি ২টি বিশাল প্যান্ডেল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে।

এ সময় সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত ও হামদ-নাত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ইফতার অনুষ্ঠানে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সবার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সহযোগিতা চাই। যেন আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে পারি। দেশবাসী নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ভালোভাবে কাজ করছে। অনেক কষ্ট করে তারা দেশের মানুষের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশ গড়তে কাজ করছি। এখন ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মানুষের জীবন উন্নত হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না।

তার সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি, তখন বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। আগামী জুনে যে বাজেট দিতে যাচ্ছি, ৫ লক্ষ কোটি টাকার ওপরে আমাদের বাজেট হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সভামঞ্চে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মিসবাহুর রহমান প্রমুখ।

এ ছাড়াও ইফতারে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বাংলাদেশ জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, শহীদুল্লাহ সিকদার, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।