অনলাইন ডেস্ক:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজও (বুধবার) শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুবউদ্দীন খোকন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
গত ২৮ জুলাই খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বেঞ্চ জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
ওইদিন আপিল শুনানি গ্রহণের পর জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি করতে গেলে আদালত বলেছিলেন, আগে নথি আসুক। তখন দেখা যাবে।
গত জুনে ওই নথি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে আসে। আপিলের পর খালেদার জামিনের বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার জামান বলেছিলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জামিন দেবেন।