রাজনীতি নাকি বেঈমানী আর বিশ্বাসঘাতকতার অপর নাম!দুর্দিনের সাথীরা হয় সুসময়ের কুকিলদের হাতে লাঞ্চিত বঞ্চিত।
নেতা রাজনীতি ও আদর্শের জন্য সর্বস্ব হারানো মানুষগুলোই হয় সেই নেতা ও নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় চক্ষুশূল। রক্ত-বংশ- ভাতৃত্ব-নেতা ও রাজনীতিকে এক সাথে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে জানমালের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেওয়া মানুষটিও যখন নিগৃহীত হয় তখন রাজনীতিকে আরো বেশী আদর্শহীন মনে হয়। তবে কি রক্ত বংশের সম্পর্কও রাজনৈতিক ভিত মজবুত করতে পারেনা?
ফুটপাত থেকে রাজপথে উঠে বসা সুযোগ সন্ধানীরাই যদি সমাদৃত হয় তারা সুযোগ নিবে খাবে কিন্ত সুযোগ দিবেনা!জামায়াত বিএনপির দু:শাসনামলে অকাতরে জীবন সময় অর্থ বিলিয়ে দিয়ে যে শাহাদাত মিয়া কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নিপীড়িত, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আশ্রয়ের ঠিকানা হয়েছিলেন সে শাহাদাত মিয়ার জন্য প্রকৃত আওয়ামী পন্থীদের মন ঠিকই কাঁদে!আজকে কচুয়ায় যারা ভ্রম্যদুষ্টের কারনে জিরু হতে হিরু হয়েছেন,যারা পরিষদ হতে পার্লামেন্টে যাওয়ার দিবাস্বপ্নে মগ্ন তারাও সেদিন শাহাদাত মিয়ার দয়া দাক্ষিন্যের কাতর ছিলেন।
তাদের চিকিৎসার তহবিলও যোগান দিয়েছেন!অথচ দল ক্ষমতায় থেকেও তাদের জন্যই তিনি আজ দলিত মথিত। কূটনামি আর কানকথার বেপারিদের জিম্মায় থাকা নেতাও তাই বিভ্রান্ত। অথচ রাজনীতির মাঠে তাদের আগমনই হয়েছিল ছোট মিয়ার নামে। যখন নেতার কেউ ছিল না তখন ছিল মিয়া শাহাদাত। এখন নেতার সব হয়েছে বলে মনে হয় তাই পর হয়েছে শাহাদাত?যে নেতার চুল পরিমান ঝুঁকির চান্স নেই সে নেতা কি করে মুখোশ পরা সাক্ষাত শত্রুদের ফাঁদে পা দিয়ে একমাত্র বিশ্বস্ত লোকটাকে দুরে ঠেলে দেন? যারা শাহাদত মিয়াকে উপজেলায় কাল্পনিক প্রতিপক্ষ ভাবেন তারা তাকে দূরে ঠেলে নিস্ক্রিয় করে কি লাভবান হবেন জানিনা তবে শাহাদাত মিয়া রাজনীতির মাঠের ম্যারাডোনা এটা সময়ে প্রমানীত হবে।