• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২৩

শাহরাস্তিতে আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ করা জায়গা ফেরত পেলেন প্রকৃত মালিক

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

আবু মুছা আল শিহাবঃ

শাহরাস্তিতে আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযানের আলোকে জায়গা ফেরত পেলেন মূল মালিক সফিউল্লাহ মজুমদার।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, স্থানিয় শ্রী ব্রজলাল ভট্টাচার্য থেকে ১৩/৯/১৯৮০ সালে শেখ শহিদুল হক ও সফিউল্লাহ্ মজুমদার একটি যৌথ দলিলে ৬০ শতক জায়গা ক্রয় করেন। সংগত কারনে উক্ত জায়গাটি এ্যানিমী থাকায় ২০০৪ সালে তিনি তার অংশের ৩০ শতক জায়গা নিজ অবমুক্তি করেন নেন। বিবাদমান জায়গাটি উপজেলার নিজমেহার মৌজার ২৫২৭নং খতিয়ানের ৬০১২ দাগে ৩০ শতক জায়গার অন্দরে ২.৭৫ শতক জায়গা। যা স্থানিয় ঠাকুর বাজার সংলগ্ন। বিবাদমান জায়গার দাবিদার হয়ে দখল করেন মৃত শহিদুল হকের পুত্র মনিরুজ্জামান গং।

উক্ত দখলকে জবরদখল মনে করে জায়গার মূল মালিক সফিউল্লাহ্ মজুমদার ২০১৬ সালে আদালতে ৫৩/১৬ নং একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় বিবাদীগনের দলিল ব্যতিত অন্য কোন কাগজপত্র না থাকায় বিগত ৩১/৩/২০১৯ইং তারিখে আদালত উক্ত মামলাটি বাদীর পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। বিবাদী মনিরুজ্জামানগং উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ৮৭/২০১৯নং

দেওয়ানী আপিল করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদী মনিরুজ্জামানগংয়ের স্বপক্ষে যথাযথ কাগজপত্রাদী ও প্রমাণপত্র না থাকায় এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে আবার বিবাদী সফিউল্লাহ্ মজুমদারের পক্ষে ২২/১/২০২৩ইং তারিখে নিন্ম আদালতের রায়টি বহাল রাখেন।

সফিউল্লাহ্ মজুমদার উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পর তিনি দেওয়ানী ডিক্রিদার হয়ে ০২/২০২৩ইং একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত ২৯/৮/২০২৩ ইং তারিখে উচ্ছেদ মূলে বাদী সফিউল্লাহ্ মজুমদারকে জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার হুকুম জারি করেন এবং উচ্ছেদের মাধ্যমে সফিউল্লাহ্ মজুমদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

উক্ত আদেশের আলোকে উচ্ছেদ কার্যক্রম উপস্থিত ছিলেন, শাহরাস্তি উপজেলা প্রসাশনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের নায়েবে নাজির গাফ্ফার খান নাদিম, সিভিল কোর্ট কমিশনার মোঃ নুরে আলম গাজী লিটন, শাহরাস্তি থানা প্রসাশনের পক্ষে এসআই আবু তাহের ও সঙ্গীয় ফোর্স, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!