• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২৩

নতুন প্রজন্মের কাছে আজ কোন্দা শব্দটি এক অদ্ভুত নাম !

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-এস এম চিশতী

এস.এম. চিশতী॥
নতুন প্রজন্মের কাছে আজ কোন্দা শব্দটি এক অদ্ভুত নাম! কোন্দা হচ্ছে তাল গাছ দিয়ে বানানো নৌকা। কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কোন্দা বা তালের নৌকা। চাঁদপুর জেলাতেও প্রায় ৯০ ভাগ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কোন্দা শব্দটির সাথে পরিচিত নন।

কোন্দা নামটা শুনলে হয়তো অনেকে হেসে হেসে পাল্টা প্রশ্ন করবেন এটা আবার কি? অথচ মাত্র তিন যুগ আগেও চাঁদপুর জেলার হাইমচর, মতলব, কচুয়া, হাজীগঞ্জের অধিকাংশ খাল বিল নদী নালা ও ডোবাতে প্রচুর কোন্দা বা তালের নৌকা চোখে পড়ত। ঐ সময় এ অঞ্চলের গ্রামের সাধারণ মানুষের জলপথের প্রধান বাহন ছিল এই তালের কোন্দা। কিন্তু আজ কাল স্রোতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তালের কোন্দা চাঁদপুর জেলা থেকেও বিলুপ্ত হয়েছে।

মজার বিষয় হচ্ছে কোন্দা বিলুপ্ত হলেও কোন্দা শব্দটিকে হয়তো বাঁচিয়ে রাখতেই বিসিএস এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একটি ভর্তি পরীক্ষায় এসেছে তালের নৌকাকে আঞ্চলিক ভাষায় কি বলা হয়? অনেকেই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারেনি। খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তর দিয়েছে তালের নৌকাকে আঞ্চলিক ভাষায় কোন্দা বলা হয়! মূলত যারা গ্রামে বসবাস করেছে তারা তালের নৌকাকে মাছ ধরার কাজে এবং বিলে শাপলা ফুল,শামুক সংগ্রহ অথবা কোন বিল বা খাল পারাপারের জন্য ব্যাবহার করতো।সে জন্য হয়তো কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কোন্দার সাথে পরিচিত রয়েছে।

গত ২৬ আগস্ট ২০২৩ হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও হতে ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার পথে বিলের মাঝে একটি কোন্দা সাপ্তাহিক ত্রিনদী পত্রিবকার উপদেষ্টার চোখে পড়ে। কোন্দাটির মালিক জামালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি অনেক বছর ধরেই এ কোন্দাটি ব্যবহার করছি।এ অঞ্চলে শুধু আমারই একখানা কোন্দা আছে। স্মৃতি হিসাবে টুকটাক ব্যবহার করছি। তিনি আরো বলেন,এখন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হওয়ায় খাল বিল জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আর কোন্দারই দরকার হয় না। তাছাড়া তাল গাছের দাম অনেক বেশি এখন আর আগের মতো তালগাছও পাওয়া যায় না।

রাজারগাঁও গ্রামের স্থানীয় নৌকা ব্যাবসায়ী আবুতাহের জানান, এখন কোন্দার ব্যবহার না থাকায় কোন্দা তৈরির পেশা পরিবর্তন করে নৌকা বানিয়ে বিক্রি করছি। যে হারে ব্রিজ ভেঙ্গে রাস্তা করে খাল ভরাট হচ্ছে আগামী ৫ বছরের মাথায় এ অঞ্চলে নৌকাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ বিষয়ে কথা হয়, ১নং রাজারগাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী মিয়ার সাথে তিনি বলেন,আমার ইউনিয়নে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষ আধুনিক হয়েছে,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাছিনা বলেছেন,গ্রাম হবে শহর সে লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এতে করে এই সরকারের মেয়াদ কালে ব্যাপক উন্নয় হয়েছে তাই কোন্দা বা নৌকা চলাচলের তেমন একটা প্রয়োজন হয়না। তার পরও আমার ইউনিয়নের কেউ যদি কোন্দা এবং নৌকা তৈরী করে এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চায় আমার পক্ষথেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।

তিনি আরো বলেন,উন্নয়নের ছোঁয়ায় কোন্দা বিলুপ্ত হলেও গণমাধ্যম কর্মীদের কলমে অন্তত কোন্দা শব্দটি বেঁচে থাকুক এটা আমার প্রত্যাশা।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!