• ঢাকা
  • রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২৩

ফরিদগঞ্জে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মা ছালেহা খাতুনকে (৮০) মারধর করে হত্যার দায়ে ছেলে আবুল কালাম বাহারকে (৫০) যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিসনুল হক এই রায় দেন।

হত্যার শিকার ছালেহা খাতুন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজি বাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী এবং কারাদন্ড প্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার ছেলে।

মামলার বিবরণ ও বাদী মো. রুহুল আমিন মিজির সাথে আলাপ করে জানাগেছে, আসামী বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে সে অনেক সময় এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। যার কারণে তার স্ত্রী চলে যায়। এরপরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করে আহত করত। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মায়ের ঘরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে মারধর করে বাহার। ধাক্কা ধাক্কির এক পর্যায়ে ঘরের স্টীলের দরজার আংটা মায়ের চোখে ডুকে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘরের অন্য সদস্যরা চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে আসে এবং ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাপসাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তামে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহ সুরতহাল করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট ছালেহা বেগমের মরদেহ হস্তান্তর করেন।

এই ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পরিদন ২৪ জুলাই ফরিদঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়াকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামাটি ৪ বছরের অধিক সময় চলাকালীন সময়ে আদালত ১২জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহন ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামী আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।

আসামী পক্ষে সরকার থেকে নিযুক্ত (এসডিএলআর) আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!